সমকাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিলের জন্য শুধু সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজ উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের জন্য উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ইউজিসির সব সদস্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা ছিলেন।বাসস জানায়, সাক্ষাৎকালে উপাচার্যরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ও নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত প্রসার ঘটেনি। কারণ তাদের আমলে দলীয়করণ করে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার অত্যন্ত পরিশ্রম করে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য তিনি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের ধন্যবাদ জানান।শেখ হাসিনা বলেন, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-২০০১) দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সরকার বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া আরও নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এমএ করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি চেয়ারম্যান বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবস্থান সংসদ সদস্যদের পরের ধাপে নির্ধারণ করা, উপাচার্যদের সম্মানিত ভাতা তাদের পদ, দায়িত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, ইউজিসিকে সম্প্রসারিত করে কার্যপরিধি বিস্তৃত ও ক্ষমতায়ন করে উচ্চশিক্ষা কমিশন হিসেবে রূপান্তরিত করা, মঞ্জুরি কমিশনের বাজেটের ঘাটতি পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদে গ্রহণ করা উচ্চশিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রস্তাব করেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বা উচ্চশিক্ষা কমিশনের প্রধান হবেন একজন পূর্ণমন্ত্রী অথবা পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার দক্ষ, যোগ্য, প্রবীণ, প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি। একই সঙ্গে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য বাড়িয়ে তাদের কেবিনেট সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশন হিসেবে রূপান্তরের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। উচ্চশিক্ষার গতিশীলতার স্বার্থে উচ্চশিক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা জরুরি উল্লেখ করে এ বিষয়ে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেন শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিষয়টি সরকারের চিন্তাভাবনায় আছে ।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল বাড়াতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি তহবিলের দিকে তাকিয়ে না থেকে এ ধরনের বিশেষ তহবিল গঠনের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের গুণগত মান বাড়ানোর প্রতি উপাচার্যদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ইউজিসির সব সদস্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা ছিলেন।বাসস জানায়, সাক্ষাৎকালে উপাচার্যরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ও নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত প্রসার ঘটেনি। কারণ তাদের আমলে দলীয়করণ করে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার অত্যন্ত পরিশ্রম করে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য তিনি শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের ধন্যবাদ জানান।শেখ হাসিনা বলেন, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-২০০১) দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সরকার বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া আরও নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এমএ করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি চেয়ারম্যান বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবস্থান সংসদ সদস্যদের পরের ধাপে নির্ধারণ করা, উপাচার্যদের সম্মানিত ভাতা তাদের পদ, দায়িত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, ইউজিসিকে সম্প্রসারিত করে কার্যপরিধি বিস্তৃত ও ক্ষমতায়ন করে উচ্চশিক্ষা কমিশন হিসেবে রূপান্তরিত করা, মঞ্জুরি কমিশনের বাজেটের ঘাটতি পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদে গ্রহণ করা উচ্চশিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রস্তাব করেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বা উচ্চশিক্ষা কমিশনের প্রধান হবেন একজন পূর্ণমন্ত্রী অথবা পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার দক্ষ, যোগ্য, প্রবীণ, প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি। একই সঙ্গে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য বাড়িয়ে তাদের কেবিনেট সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশন হিসেবে রূপান্তরের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। উচ্চশিক্ষার গতিশীলতার স্বার্থে উচ্চশিক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা জরুরি উল্লেখ করে এ বিষয়ে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেন শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিষয়টি সরকারের চিন্তাভাবনায় আছে ।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল বাড়াতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি তহবিলের দিকে তাকিয়ে না থেকে এ ধরনের বিশেষ তহবিল গঠনের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের গুণগত মান বাড়ানোর প্রতি উপাচার্যদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।