Sunday, November 24, 2013

জাতীয় বেতন কমিশন গঠন


সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন, ২০১৩ গঠন করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কমিশন ২০১৪ সালের ১৭ জুনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে সভাপতি করে গঠিত এ কমিশন আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

যোগাযোগ করলে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। ১৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য কিছু করা যাবে মনে করে অন্য কোনো দায়িত্বের পরিবর্তে আমি এটি গ্রহণ করেছি।’

বেতন কমিশন নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকার বেতন কমিশন গঠন করতে পারে না—একটি দৈনিক সংবাদপত্রে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইটস জাস্ট স্টুপিড। এখনো নির্বাচনের শিডিউল ঘোষিত হয়নি। সাখাওয়াত হোসেন একজন নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। শিডিউল ঘোষণার আগের সরকার নির্বাচনকালীন সরকার নয়।’ 

এবারের কমিশনে তিনজন সদস্য হলেন দুই সাবেক সচিব মুহম্মদ আবুল কাশেম ও শেখ খুরশীদ আলম এবং সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. সাহাদ চৌধুরী। ১২ জন খণ্ডকালীন সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাফর খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো বিনায়ক সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ রুহুল আমীন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, মেট্রো চেম্বারের সাবেক মহাসচিব সি কে হায়দার, ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম রফিকুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইমদাদুল হক, আইন বিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ আমিনুল ইসলাম এবং সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রতিনিধি। তবে, কমিশন প্রয়োজনবোধে খণ্ডকালীন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিশনের সদস্যসচিব হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এহসানুল হক। 

কমিশনের কার্যপরিধি: প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনাপূর্বক সরকারের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করবে কমিশন। 

সুপারিশ তৈরির সময় মা-বাবাসহ ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এর আগে ২০০৮ সালের কমিশনে অবশ্য চারজনের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনার কথা ছিল। 

একটি সময়োপযোগী বেতন কাঠামো ও অবসর সুবিধা নির্ধারণ; বিশেষায়িত চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ এবং বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যকর, মহার্ঘ্য, উৎসব ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নির্ধারণের কাজ করবে কমিশন। কমিশন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয়ের পদ্ধতিও নিরূপণ করবে। 

টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড এবং ইনক্রিমেন্টের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসংগতিও দূর এবং রেশন-সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করা হবে। 

২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গঠিত বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জুলাই সর্বশেষ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর তাঁদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার, যা গত ১ জুলাই কার্যকর হয়েছে।

Published in: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/81928/

আরো পড়ুনঃ

Friday, November 1, 2013

শিক্ষার মানোন্নয়ন বনাম শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া

ড. আবদুল্লাহ ইকবাল

আমরা যারা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার কিছুটা খোঁজখবর রাখি সবাই কথায় কথায় বলে থাকি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা মানসম্মত শিক্ষা চাই। প্রতিটি সরকারও তার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতা ছাড়ার সময় পর্যন্ত (আর বিরোধী দলে থাকাকালীন ক্ষমতায় আসার আগমুহূর্ত পর্যন্ত) প্রতিনিয়তই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টার কথাও বলে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে কী দেখা যাচ্ছে? প্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন পর্যায়ে পাসের হার বাড়ছে (বিশেষত শহর এলাকায়)। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটছে এর উল্টোটা। এর কারণ হিসেবে কি বলা যাবে যে, প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা মেধাবী না বা কম মেধাবী? মোটেও সেটি বলা যাবে না। প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেক মেধাবী, যাদের নূ্যনতম সুযোগ-সুবিধা (শহর এলাকার ১০ ভাগের ১ ভাগ দিতে পারলেও) দিতে পারলে অনেক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী বা তাক লাগানোর মতো কিছু ঘটতে পারত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসে কোনোমতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে পরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম সারির ছাত্রছাত্রীর (এমনকি প্রথম/দ্বিতীয়/... স্থান অধিকার করে ফেলে) তালিকায় ঢুকে যায়। আবার পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে ভালো ফল করে এসেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে খুব খারাপ ফল করাটা অতি স্বাভাবিক। এর কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে যে, পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে মুখস্থ করার প্রবণতা এবং প্রাইভেট কোচিংয়ের একটা প্রভাব থাকে, যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনও প্রকটভাবে দেখা যায় না। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে আমাদের বিদ্যমান শিক্ষার মান নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট না_ না সরকারের মন্ত্রীরা, না শিক্ষাবিদরা, না অভিভাবকরা। এরই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গত ২৪ জুলাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রীর শিক্ষার মান নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে (শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে)। তার মতে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে অবহেলিত ও দুর্বল মাধ্যমিক শিক্ষা। প্রকৃতপক্ষে, বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরেই শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আসবে। দল-মত সবাই এ ব্যাপারটিতে একমত হবেন! বর্তমানে আমরা ছাত্রছাত্রীদের যে শিক্ষা দিচ্ছি তাহলো চাকরিমুখী শিক্ষা_ লেখাপড়া শেষে যেভাবেই হোক তাকে একটা চাকরি পেতেই হবে!

মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন কারা? বেশিরভাগই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ থেকে পাস করা ছাত্রছাত্রী, যাদের অধিকাংশই অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বা ভর্তির সুযোগ পায়নি। তাদের বেশিরভাগকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেতে হয়। এবার শুরু হলো তার শিক্ষকতা। আমরা বলি ভালো বীজে ভালো ফসল, আর এ ক্ষেত্রে ভালো ফসল হলো ভালো ছাত্র। তাহলে কতটুকু ভালো ছাত্র আশা করা যায়? এরই ঠিক কয়েক বছর পর আবার বর্তমানের ভালো ছাত্রটিই (!) আবার পূর্বের প্রক্রিয়ায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবে ওই স্কুল-মাদ্রাসাটিতে। তাহলে শিক্ষার মান প্রতিনিয়তই বাড়বে না কমবে? এই সমস্যাটি থেকে উত্তরণের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে আলাদা একটি কমিশন বা অনুরূপ কিছু করা যেতে পারে, যারা কেন্দ্রীয়ভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করবেন।

এবার আসা যাক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মানের ব্যাপারে। স্বাভাবিকভাবেই অন্য কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়নি বলেই (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ৬০-৬৫ নম্বর পেয়ে চাকরি না পেলেও বিভিন্ন কোটায় ৫০ নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়ে গেল। সেখানেও যে নিয়োগে অনিয়ম হয় না সেটাও বলা যাবে না। তবে তার তীব্রতা-মাত্রা কিছুটা কম। কারণ সেখানে একটি লিখিত পরীক্ষায় একেবারেই অযোগ্যদের ছেঁকে নেওয়া হয়। আবার মৌখিক পরীক্ষায়, এখানেও থাকেন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা (সাধারণত সরকারি দলের)। সব মিলিয়ে এখানেও যে আমরা খুব ভালো ছাত্রছাত্রীটিকে শিক্ষক হিসেবে পাচ্ছি তা বলা যাবে না। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষাস্তর থেকেই শুরু হয় শিক্ষার মানের ব্যাপারটি।

এরপর হলো শিক্ষার মানটি ধরে রাখা বা উন্নীত করা। এটি করতে হলে প্রতিনিয়তই আমাদের সচেষ্ট হতে হবে, কেমন করে ভালো ছাত্রছাত্রীটিকে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা। যেন একজন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার পর অন্য চাকরি না খোঁজেন, তিনি যেন এখানে তার অবস্থায় তৃপ্ত হন তার ক্ষুদ্রতম প্রচেষ্টাটুকু অব্যাহত রাখতে। সেখানেই আসে শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রসঙ্গ। প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একটা বড় ক্ষোভ হলো এই পদোন্নতি নিয়ে। দেখা যায়, একই পদে সারাজীবন চাকরি করে অবসর নিতে হয়। অথচ একই পদমর্যাদার অন্য চাকরির বেলায় পদোন্নতিসহ অধিকতর আর্থিক সুবিধাদি পেয়ে থাকেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাকরি প্রার্থীরা শিক্ষকতার প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থা তো আরও করুণ। তাদের দীর্ঘ সময়ের দাবি প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দান করা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকের অনুরূপ দাবি মেনে নিলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যাপারে কোনো আন্তরিকতা দেখা যায়নি। আবার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি করার ঘোষণা (প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক) দিলেও এখনও সেগুলোর কোনোই সুরাহা হয়নি_ এখন সেগুলো না রেজিস্টার্ড, না সরকারি! তারা আরও হতাশ হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। ফলে অনেক হতাশা আর বঞ্চনা নিয়ে তারা এখন আবার আন্দোলন শুরু করেছেন (যা বর্তমানে চলমান)। বিভিন্ন খাতে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও এই খাতে সরকার একটু সহানুভূতিশীল হলে ভবিষ্যতে অধিকতর মেধাবীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আসত। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পেতে পারত অধিকতর উন্নত শিক্ষা।

সবগুলো সরকার এসেই বলে যে, শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দিতে হবে, নইলে ভালো ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকতায় আসবে না, শিক্ষার মান বাড়বে না ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে কি কিছু হচ্ছে? কারও কাছ থেকে কিছু পেতে হলে তাকে তো অন্তত কিছু দিতে হবে। শিক্ষকরা যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ শুধু আশ্বাস আর দাবি নিয়েই চলছেন, তখন অন্য অনেকেই স্বতন্ত্র বেতন স্কেল-ভাতা পেয়ে গেলেন। সুতরাং সরকারের এখন বুঝতে হবে যে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি না করে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে, যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্বমানের কর্মমুখী শিক্ষা লাভ করতে পারে। আর এই দায়িত্বটুকু শিক্ষকদের ওপর না দিয়ে সরকারকেই আরও আন্তরিক হতে হবে। বর্তমান অবস্থায় এটি কখনও সম্ভব হবে না। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে রাজনীতি না করে বাস্তবতার নিরিখে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে দেশের সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে।

সহযোগী অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
iqbal21155@bau.edu.bd

Published in: http://archive.samakal.net/2013/11/02/17378