Thursday, November 27, 2014

তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে সেনাবাহিনী

তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনটিই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবুজসংকেত পেয়ে এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ জন্য প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ইউজিসি

প্রস্তাবিত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা; বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কাদেরাবাদ-নাটোর এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুর।
ইতিমধ্যেই এই তিনটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের আগে জনবল নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি নজরে আসায় ইউজিসি আর বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ দিয়েছে বলে ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে। 
ইউজিসির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এখন প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়-গুলোর ব্যাপারে শিগগিরই সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আদেশ জারি করা হবে। 
জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এর বাইরে তিনি কিছু বলেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, যেহেতু সরকারের উচ্চপর্যায় ইতিবাচক, তাই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত শেষ করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে। আইনানুয়ায়ী মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা আছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে। এরপর অনুমোদন দেওয়া হয়। 
জানতে চাইলে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. সামছুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এখন কমিটি গঠন করে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে।
ইউজিসির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই অনুমোদন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কিছুটা হেরফের হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ইউজিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাখা ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ। এখন একই নামে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে মনে হতে পারে আউটার ক্যাম্পাসের আদলেই হচ্ছে। সে জন্য নাম সামান্য হেরফের হতে পারে। 
এর আগে সর্বশেষ ‘সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে আছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। তিনি বর্তমানে অনুমিত হিসাব-সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এ নিয়ে মহাজোট ও বর্তমান সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বাদে প্রায় সবগুলোর পেছনেই মন্ত্রী, সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত। 
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনকি জোট সরকারের শেষ কর্মদিবসেও চট্টগ্রামে বাড়ি বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকায় বেসরকারি একটি সংস্থাকে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। 
সব মিলিয়ে দেশে এখন ৮০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। নতুন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৩তে দাঁড়াবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, আরও ১৩৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রায় ১০০টির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। আবেদন করা প্রস্তাবিত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের ব্যক্তিরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীও।

Published in: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/381988

Friday, November 14, 2014

শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামোর পরিকল্পনা রয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী




শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০এর আলোকে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি আজ সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ইতোমধ্যে সরকার এ লক্ষ্যে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন শতকরা ৫০ এর স্থলে শতকরা ৮০ ভাগ সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রথম নিয়োগ প্রাপ্তিতে যে সকল ব্যক্তির ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রি বা মাস্টার্স ডিগ্রিসহ সরকার কর্তৃক এতদউদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ইনস্টিটিউট) থেকে ফিজিক্যাল প্ল্যানিং এ ডিগ্রি রয়েছে অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে এবং যদি ওইরূপ ডিগ্রি সংশ্লিষ্ট পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারিত থাকে, তাহলে উক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দুটি অগ্রিম বেতন বৃদ্ধি প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণীর টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম বিভাগের জন্য একটি অগ্রিম বর্ধিত বেতন এবং প্রথম শ্রেণীর পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম শ্রেণীর জন্য একটি অগ্রিম বর্ধিত বেতন এবং এমএসসি ডিগ্রির জন্য দুটি অগ্রিম বর্ধিত বেতনের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণীর নন-টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্স এবং মাস্টার্স প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর জন্য একটি করে অগ্রিম, বর্ধিত বেতন এবং ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য তিনটি অগ্রিম বর্ধিত বেতনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণীর পদের জন্য ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণীর জন্য একটি এবং ডিপ্লোমা-ইন-টেকনিক্যাল এডুকেশন ডিগ্রির জন্য একটি করে অগ্রিম বর্ধিত বেতন প্রদান করা হচ্ছে। তৃতীয় শ্রেণীর নন-টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্স প্রথম শ্রেণীর জন্য দুটি, দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য একটি করে এবং মাস্টার্স এর জন্য দুটি করে অগ্রিম বর্ধিত বেতনের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রির জন্য একটি অগ্রিম বর্ধিত বেতন প্রদান করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য দেশে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গাজীপুরে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে এ আইনে একটি পৃথক বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা গবেষণা খাতে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা শিক্ষক-গবেষকদের অনুকূলে ছাড় করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন ফেলোশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। এসব প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষকরা দেশে-বিদেশে তাদের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিবছর দেশে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে তাদের সবেতনে ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওর অর্থ সরকার ঘোষিত নতুন পে-স্কেলে আপগ্রেড করা হয়েছে। যার ফলে আগের তুলনায় প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকদের মতো মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও মর্যাদা সমতাকরণ করা হয়েছে।

Source: http://www.kalerkantho.com/online/national/2014/11/13/150595














Thursday, November 13, 2014

শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামোর পরিকল্পনা রয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

নুরুল ইসলাম নাহিদ
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’র আলোকে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

তিনি আজ সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ইতোমধ্যে সরকার এ লক্ষ্যে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ২য় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। এখন শতকরা ৫০ এর স্থলে শতকরা ৮০ ভাগ সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রথম নিয়োগ প্রাপ্তিতে যে সকল ব্যক্তির ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রী বা মাস্টার্স ডিগ্রিসহ সরকার কর্তৃক এতদউদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ইনস্টিটিউট) থেকে ফিজিক্যাল প্ল্যানিং এ ডিগ্রী রয়েছে অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী রয়েছে এবং যদি ওইরূপ ডিগ্রী সংশ্লিষ্ট পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারিত থাকে, তাহলে উক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ২টি অগ্রীম বেতন বৃদ্ধি প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২য় শ্রেণীর টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এ ১ম বিভাগের জন্য ১টি অগ্রীম বর্ধিত বেতন এবং ১ম শ্রেণীর পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ১ম শ্রেণীর জন্য ১টি অগ্রীম বর্ধিত বেতন এবং এমএসসি ডিগ্রীর জন্য ২টি অগ্রীম বর্ধিত বেতনের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ১ম শ্রেণীর নন-টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্স এবং মাস্টার্স প্রত্যেক ক্ষেত্রে ১ম শ্রেণীর জন্য ১টি করে অগ্রীম, বর্ধিত বেতন এবং ডক্টরেট ডিগ্রীর জন্য ৩টি অগ্রীম বর্ধিত বেতনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২য় শ্রেণীর পদের জন্য ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীতে ১ম শ্রেণীর জন্য ১টি এবং ডিপ্লোমা-ইন-টেকনিক্যাল এডুকেশন ডিগ্রীর জন্য ১টি করে অগ্রীম বর্ধিত বেতন প্রদান করা হচ্ছে। ৩য় শ্রেণীর নন-টেকনিক্যাল শিক্ষক পদে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্স ১ম শ্রেণীর জন্য ২টি, ২য় শ্রেণীর জন্য ১টি করে এবং মাস্টার্স এর জন্য ২টি করে অগ্রীম বর্ধিত বেতনের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রীর জন্য ১টি অগ্রীম বর্ধিত বেতন প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য দেশে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুরে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে এ আইনে একটি পৃথক বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা গবেষণা খাতে বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা শিক্ষক-গবেষকদের অনুকূলে ছাড় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন ফেলোশীপ প্রোগ্রাম রয়েছে। এসব প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষকরা দেশে-বিদেশে তাদের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিবছর দেশে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে তাদের স্ব-বেতনে ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও’র অর্থ সরকার ঘোষিত নতুন পে-স্কেলে আপগ্রেড করা হয়েছে। যার ফলে পূর্বের তুলনায় প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকদের মতো মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও মর্যাদা সমতাকরণ করা হয়েছে।

Published in: http://www.arthosuchak.com/archives/123577