Saturday, September 21, 2013

‘শিক্ষকদের জন্য আলাদা স্কেল হচ্ছে’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল হচ্ছে। এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই আপনারা এ বিষয়ে জানবেন।’
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের সম্পাদনায় ‘রিসার্স অ্যান্ড এডুকেশন চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়- নিউজিল্যান্ডের যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কর্যক্রমের অংশ হিসেবে এনিমকা গ্রিনউড, জন আরবাট, আরিফুল হক কবির এবং সাফায়াত আলমের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে এ বইটি। গ্রন্থের সম্পাদকগণ হলেন নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনিনকা গ্রিনউড, অধ্যাপক জন এভারেট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মো. আরিফুল হক কবির ও সাফায়েত আলম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য আধুনিক জ্ঞান ও শিক্ষা প্রয়োজন। এ আধুনিক শিক্ষা ছাড়া আমাদের নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যেতে পারবে না। আর নতুর প্রজন্ম এগিয়ে না গেলে জাতিও থেমে যাবে। এ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা দিবেন শিক্ষকরা। আর এ শিক্ষকরাই যদি কম বেতন পান তাহলে তারা তাদের কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করতে পারবেন না, আবার অনেকে অসত্ হয়ে যেতে পারেন। এজন্যই আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল হবে।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন গবেষণা। আর এ গবেষণা বাড়ালেই আমাদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হবে। তবে শিক্ষকরা বিদেশে যেয়ে অনেক গবেষণা করেন। তারা ওইসব দেশের বিষয় ও সমস্যা নিয়ে গবেষণা করেন। আমরা ওই গবেষণা চাই। আমাদের দেশে ওই রকম হাজারো সমস্যা রযেছে। তাই ওই গবেষণা আমাদের দেশে হতে হবে। তবেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা বৃদ্ধির জন্য আমরা এপর্যন্ত ১০৬টি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি আশা করি এ প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণার অনেক দিক উন্মোচিত হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক অর্জন আছে। এ থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। নারী শিক্ষার প্রতি বিরূপ মন্তব্য শুনলে আমি হতবাক হই। এ মনমানসিকতার মানুষকে দেখে আমি অবাক হই। এসব মানুষ দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক নূরুর রহমান খান। গ্রন্থের উপজীব্য তুলে ধরেন নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এনিনকা গ্রিনউড। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মুহাম্মদ নাজমুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন।

Published in: http://fenirshomoy.com/index.php?option=com_content&view=article&id=2877

0 comments:

Post a Comment