সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত 'পে কমিশন' আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে।
কমিশন গঠনের দুই মাস পর গতকাল প্রথম বৈঠক করেছে কমিটি। শাহবাগের বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে নেওয়া অফিসে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাসউদ্দিন। এ সময় কমিশনের সদস্যসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ডিসেম্বরে পে কমিশনের গেজেট প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। কমিশন গঠনের পর থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশন বর্ধিত বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে। ওই সুপারিশের আলোকে বেতন-ভাতা বাড়ানো হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বশেষ বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হয়। এর আগে গঠিত সব পে কমিশনের মেয়াদ ছিল এক বছর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন পে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন গতকাল সমকালকে বলেন, বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেসব ইস্যু বিবেচনা করা হবে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর সুপারিশ করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পে কমিশনের চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এতদিন কাজ শুরু করা যায়নি। নতুন পে কমিশনের চেয়ারম্যানকে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সব পে কমিশনের চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা ছিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান। নতুন পে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন আগের পদমর্যাদা গ্রহণে আপত্তি জানান। পরে এ-সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করে ড. ফরাসউদ্দিনকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়।
সূত্র জানায়, নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ২০ শতাংশ 'মহার্ঘ ভাতা' পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। যখন থেকে বর্ধিত বেতন-ভাতা কার্যকর হবে তখন মহার্ঘ ভাতা সমন্বয় করা হবে। গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন।
0 comments:
Post a Comment