গাড়ি চালানোর সময় চালক ঠিক অবস্থায় আছেন কিনা সেটা জানিয়ে দেবে একটি ডিভাইস৷ সেই পদ্ধতিই উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের নেতৃত্বাধীন একদল হবু বিজ্ঞানী৷
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে কাজ করেন ঐ বিভাগের চার শিক্ষার্থী৷ পরামর্শক হিসেবে ছিলেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের লেকচারার মো. এনামুল হক চৌধুরী৷
‘ড্রাইভার ডিসট্র্যাকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' নামক ডিভাইসটি সম্পর্কে ড. রাজ্জাক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গাড়ি চালানোর সময় চালক মোবাইলে কথা বললে, এসএমএস করায় ব্যস্ত হলে কিংবা চা, কফি খেলে তাকে সতর্ক করে দেয় এই ডিভাইস৷
এছাড়া চালক সামনের রাস্তার দিকে না তাকিয়ে পাশের বিলবোর্ডের দিকে নজর দিচ্ছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখবে এই ডিভাইস৷ চালক মদ্যপ অবস্থায় আছে কিনা, তার ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে কিনা, শরীরে তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা অর্থাৎ চালক সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়গুলোও খেয়াল রাখা যায় এই ডিভাইসের মাধ্যমে৷''
এই বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে চালকের আসনের আশেপাশে কিছু সেন্সর বসানো হবে৷ অর্থাৎ চালকের শরীরের সঙ্গে কোনোকিছু লাগাতে হবে না৷ তবে তাপমাত্রা ও রক্তচাপ মাপার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রটা চালকের হাতেই লাগাতে হবে – যেটাকে ড. রাজ্জাক তাঁদের উদ্ভাবিত ডিভাইসের একটা সীমাবদ্ধতা বলে মনে করছেন৷ তবে এর বিকল্প উপায়ও খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি৷
এছাড়া, সব কাজ যেন একটা মাত্র ডিভাইস দিয়ে করা যায় সে চেষ্টাও করা হচ্ছে, বলে জানালেন ড. রাজ্জাক৷
বর্তমানে পরিপূর্ণ ডিভাইসটি ব্যবহার করতে চাইলে খরচ পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো৷ তবে আরও গবেষণার মাধ্যমে এর মূল্যটা কমানো সম্ভব৷ ড. রাজ্জাক জানান, ইতিমধ্যে সরকার, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন পরিবহণ মালিকদের সামনে ডিভাইসটি তুলে ধরা হয়েছে৷ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব এটার প্রতি আগ্রহী হয়ে একে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ এছাড়া বেসরকারি সোহাগ পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিভাইসটি বাস্তবে কতটা কার্যকর হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখতে এবং পরীক্ষামূলকভাবে এটা চালু করার জন্য যে আর্থিক সহায়তা লাগবে সেটা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷
এই ডিভাইস তৈরি প্রকল্প এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক ‘ইনফরমেশন সোসাইটি ইনোভেশন ফান্ড'-এর কাছ থেকে ৩০ হাজার ডলার অস্ট্রেলীয় ডলার পেয়েছিলেন ড. রাজ্জাক ও তাঁর দল৷
ড. রাজ্জাক বলেন, তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, ক্রিকেটার মানজার রানার মতো ব্যক্তিত্বদের সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছিল৷ নিজের কাজের ক্ষেত্র থেকে এ ব্যাপারে কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে গিয়েই তাঁর মাথায় এই ডিভাইসের পরিকল্পনা আসে বলে জানান তিনি৷ ড. রাজ্জাকের আশা, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে তাঁদের ডিভাইস হয়ত কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে৷
সড়ক দুর্ঘটনা কমানো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের তত্ত্বাবধানে ঐ বিভাগের চার শিক্ষার্থী একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছেন৷ পরামর্শক হিসেবে ছিলেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের লেকচারার মো. এনামুল হক চৌধুরী৷ এর মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে আশা করছেন ড. রাজ্জাক৷
ডিভাইসটি যা করবে
গাড়ি চালানোর সময় চালক মোবাইলে কথা বললে, এসএমএস করায় ব্যস্ত হলে কিংবা চা, কফি খেলে তাকে সতর্ক করে দেবে৷ এছাড়া চালক সামনের রাস্তার দিকে না তাকিয়ে পাশের বিলবোর্ডের দিকে নজর দিচ্ছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখবে এই ডিভাইস৷
তাপমাত্রা, রক্তচাপ পরিমাপ
মদ্যপ অবস্থায় আছে কিনা, তার ঘুম ঘুম ভাব হচ্ছে কিনা, শরীরে তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা, অর্থাৎ চালক সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়গুলোও খেয়াল রাখা যাবে এই ডিভাইসের মাধ্যমে৷
কয়েকটি সেন্সর
প্রতিটি বিষয় খেয়াল রাখার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা সেন্সর৷ তবে সব কাজ যেন একটা মাত্র ডিভাইস দিয়ে করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ড. রাজ্জাক৷
ব্যাবহার
ড. রাজ্জাক জানান, ইতিমধ্যে সরকার, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন পরিবহণ মালিকদের সামনে ডিভাইসটি তুলে ধরা হয়েছে৷ বেসরকারি সোহাগ পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিভাইসটি বাস্তবে কতটা কার্যকর হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখতে এবং পরীক্ষামূলকভাবে এটা চালু করার জন্য যে আর্থিক সহায়তা লাগবে সেটা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷
দাম ২৫-৩০ হাজার টাকা
বর্তমানে পরিপূর্ণ ডিভাইসটি ব্যবহার করতে চাইলে খরচ পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো৷ তবে আরও গবেষণার মাধ্যমে এর মূল্যটা কমানো সম্ভব৷ড. রাজ্জাক বলেন, তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, ক্রিকেটার মানজার রানার মতো ব্যক্তিত্বদের সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছিল৷ নিজের কাজের ক্ষেত্র থেকে এ ব্যাপারে কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে গিয়েই তাঁর মাথায় এই ডিভাইসের পরিকল্পনা আসে বলে জানান তিনি৷
সহায়তা
এই ডিভাইস তৈরি প্রকল্প এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক ‘ইনফরমেশন সোসাইটি ইনোভেশন ফান্ড’-এর কাছ থেকে ৩০ হাজার ডলার অস্ট্রেলীয় ডলার পেয়েছিলেন ড. রাজ্জাক ও তাঁর দল৷
DW.COM এর সাথে সাক্ষাতকার
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
আরো সাক্ষাতকার ও আলোচনাঃ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
0 comments:
Post a Comment