বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দুর্নীতির অভিযোগে ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয় তার বেশির ভাগই এই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিতে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে রয়েছেন চিকিৎসকরা। এর পরই অবস্থান পুলিশের। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে দুর্নীতির মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কর্মকর্তারা নতুন করে পোস্টিং পাচ্ছেন। ফলে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা তাঁদের অবস্থানে থেকে তদবিরের মাধ্যমে মামলায় প্রভাব খাটানোর সুযোগ পান, যা সুষ্ঠু বিচারের অন্তরায়।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুদকের মামলাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ সময়ে ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মোট ৭৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৮০ জন কর্মকর্তা অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৪৮ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ২৩ জন এবং পুলিশ ক্যাডারের রয়েছেন ছয়জন। এ ছাড়া প্রাণিসম্পদের পাঁচজন, শিক্ষার চারজন, টেলিযোগাযোগ ও গণপূর্ত ক্যাডারের তিনজন করে এবং কর ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। দুর্নীতির মামলার এ ধারা গত আট মাসেও অব্যাহত ছিল। এসব মামলায়ও এগিয়ে রয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৪২টি মামলার চার্জশিট হয়েছে। দাখিল করা এসব চার্জশিটে ২৯ কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের ২৮টি ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মকর্তা প্রশাসন ক্যাডারের। এ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সারা দেশে ছড়িয়ে আছেন। জমির মালিকানার নামজারি, সরকারের পক্ষে জমি হুকুমদখল, ইজারার মতো সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা যেমন কাজ করেন, তেমনি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মতো অত্যাধুনিক কাজও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে করতে হয়। নানা পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে অনেক সময় সরকারি সিদ্ধান্তের কারণেও মামলার শিকার হন তাঁরা।
পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অপেক্ষাকৃত কম হলেও দুর্নীতি নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) মতে, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সেক্টরগুলোর মধ্যে পুলিশ অন্যতম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পুলিশ প্রভাব বিস্তার করে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেদের আড়াল করে। দুদক এবং টিআইবির দুর্নীতিবিষয়ক তথ্যের অন্যতম উৎস গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশিত তথ্য আমলে নেয় না দুদক। আমলে নিলে পুলিশের দুর্নীতিই বেশি হতো বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা হয়েও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠে। এটা হতে পারে তাঁদের কাজের ধরনের জন্য। চাকরিজীবনের শুরুতেই তাঁরা জমি অধিগ্রহণ, নামজারিসহ গণমানুষের সরাসরি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করেন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশি মামলা হয়। আর পুলিশের বিরুদ্ধে কম অভিযোগের কারণ হতে পারে সাধারণ মানুষের ভয়। গণমাধ্যমে পুলিশের হয়রানি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। এসব রিপোর্ট হয়রানিসংক্রান্তই বেশি। মনে রাখতে হবে, হয়রানি আর দুর্নীতি এক বিষয় নয়। এ কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কম হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে হয়রানির কারণে আমরাও পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকি। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে তাদের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব আলী ইমাম মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সেক্টরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। দুর্নীতি আজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে প্রশাসন ক্যাডার বেশি করছে, অন্য ক্যাডার কম করছে- বিষয়টা এমন নয়। যাদের সুযোগ আছে তারা সবাই করছে। এ অবস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। আর এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, তদন্ত বা মামলা চলা অবস্থায় নতুন জায়গায় পদায়ন না করাই ভালো। আর টিআইবির দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদনে পুলিশকে যে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বলা হয়েছে তা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই।
এক কর্মকর্তা জানান, জমিজমার মালিকানা, নামজারি, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি হয়। এসব নিয়ে মামলাও হয়। এগুলো নতুন কিছু নয়। কিন্তু যে দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ওঠে না বা মামলা হয় না সেটা সবার আড়ালেই থেকে যায়। এমন একটি দুর্নীতি হচ্ছে এলআর (লোকাল রিলেশন) ফান্ড দুর্নীতি। জেলা প্রশাসকদের কাছে এলআর ফান্ড নামে একটি তহবিল থাকে। এটি জেলা প্রশাসকদের দুর্নীতির স্বীকৃত ফান্ড বলে পরিচিত। এ ফান্ডের বিষয়ে কখনোই অডিট হয় না। এ ফান্ডের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলা হয়, মন্ত্রী বা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার জেলা সফরকালে সার্কিট হাউসে আপ্যায়ন করানো হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে কোনো খাত নেই। তাই জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন লাইসেন্স গ্রহণকালে এলআর ফান্ডের জন্য একটি চাঁদা নেওয়া হয়। ইটভাটা থেকে চাঁদা নেওয়া হয়। এসব চাঁদার অর্থ কোথায় যায় তার কোনো হদিস থাকে না। বর্তমানে মন্ত্রী বা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা যখন জেলা পর্যায়ে সফরে যান, সাধারণত যে মন্ত্রণালয়ের কাজে যাচ্ছেন, জেলা পর্যায়ের সেই দপ্তর অতিথিদের আপ্যায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। কিন্তু এর পরও এলআর ফান্ড সংগ্রহের ধারা বিদ্যমান রয়েছে। অডিট না হওয়ায় এ খাতের অর্থ নিয়ে পুরোপুরিই দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের ফান্ড শুধু ডিসিদের জন্যই নয়, পুলিশেও রয়েছে। পুলিশের যে সোর্স মানি তারও কোনো অডিট হয় না। সব ধরনের গোয়েন্দাকাজের সোর্স মানিরও একই অবস্থা।
২০১৩ সালে ২২ ক্যাডার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। উল্লেখযোগ্য একটি হলো ৪০০ একর সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার মামলা। গাজীপুর সদরের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৮৫টি দাগে প্রায় ৪০০ একর খাসজমির খতিয়ান জাল করে সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুদক এ বিষয়ে তদন্ত শেষে মামলা করেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ওই কর্মকর্তাকে গাজীপুর থেকে সরিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি হাতছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে গাজীপুরের আরেক সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতুল সরকারের বিরুদ্ধেও। তিনি অর্থের বিনিময়ে অর্পিত সম্পত্তি ব্যক্তির নামে খারিজ ও নামজারি করে দেওয়ার জন্যও অভিযুক্ত। এ কর্মকর্তাকে গাজীপুর থেকে সরিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) করা হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকেও বদলি করা হয়েছে। আইন অগ্রাহ্য করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ০.৫৫ একর সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনেন্দ্র নাথ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখান থেকে তাঁকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছিল। খুলনার বটিয়াঘাটার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চলা অবস্থায় তাঁকে পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গায়। সরকারি খাস খতিয়ানের ৩.২৯ একর জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগে বগুড়ার সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখারুল ইসলাম খান ও বগুড়ার শেরপুরের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চলা অবস্থায় একজনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং আরেকজনকে ঢাকার নবাবগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনে কর্মরত থাকার সময় প্রকল্প পরিচালক মো. শাজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়। সেখান থেকে তাঁকে বদলি করা হয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে। দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরের সাবেক ইউএনও তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা চলা অবস্থায় তাঁকে পাঠানো হয়েছিল গাইবান্ধার পশালবাড়ীতে।
এ ছাড়া যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা সানজিদা শারমিন, সিরাজগঞ্জের সাবেক ডিসি মো. আমিনুল ইসলাম, কানাইঘাটের সাবেক ইউএনও মিজানুর রহমান, ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুর রউফ তালুকদার ও ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ করিম। চট্টগ্রামের এশিয়ান ওমেন ইউনিভার্সিটির জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করতে গিয়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয় সানজিদা শারমিনের বিরুদ্ধে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর হাট ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে সিরাজগঞ্জের সাবেক ডিসি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নামজারির অবৈধ আদেশ দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুর রউফ তালুকদার ও ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ইজারাগ্রহীতাকে ১৭.৯৩ একর ভূমির স্থলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১০৪.১১ একর ভূমি ভোগদখলের সুযোগ করে দিয়ে সরকারকে ৩৬ লাখ টাকা রাজস্বপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করায় কানাইঘাটের সাবেক ইউএনও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
এ ছাড়া বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব ড. শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে মামলা চলছে। পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিপিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ডাকসচিব আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে দুদকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক শহিদুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। গোপালগঞ্জের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মতিনের বিরুদ্ধে গত ২৪ আগস্ট মামলা করেছে দুদক। শাহরিয়ার মতিনসহ ২১ কর্মকর্তা সরকারি জমির ওপর নির্মিত অবকাঠামো ও ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন। ১০ লাখ টাকার ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সাবেক ইউএনও সুজিত রায়ের বিরুদ্ধে। ময়মনসিংহের ভালুকার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ১০ দশমিক ৪৬ একর সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলা চলছে।
কমিশনে নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
দুর্নীতিতে কম যান না নন-ক্যাডাররাও : ক্যাডার কর্মকর্তাদের তুলনায় নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ বেশি। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ১৬০টি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় ৪৯২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযুক্ত। একই সময়ে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ২৩২টি মামলার। এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ৪৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
Source:http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/10/12/138505
আরো পড়ুন:
0 comments:
Post a Comment