Friday, July 24, 2015

প্রি-প্রিন্ট আর্কাইভের সূচনা- arXiv.org


১৯৯১ সালে পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞানীদের জন্য এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে। ওই সালে xxx.lanl.govurl এড্রেসে বিজ্ঞানীদের একটি প্রি-প্রিন্ট আর্কাইভের সূচনা হয়। বর্তমানে ওই এড্রেসটি পরিবর্তিত হয়ে arXiv.org হয় এবং এটি মেইনটেইন ও অপারেশনের দায়িত্ব নেয় Cornell University Library। এই আর্কাইভটি বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে সাংঘাতিক জনপ্রিয়। Covered areas archive include physics, mathematics, computer science, nonlinear sciences, quantitative biology and statistics। ১৯৯১-এর আগে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট তাদের নিজস্ব প্রি-প্রিন্ট আর্কাইভের ব্যাবস্থা করত। বস্তুতপক্ষে এই প্রি-প্রিন্ট ব্যাবস্থাটা এই জন্য করা হয় যেন অন্যকেউ কারো পরে একই কাজ করে ওই কাজের দাবিদার না হতে পারে। এই ব্যাবস্থা যদি আরো আগে থাকতো তাহলে হয়ত মার্কনি রেডিও আবিস্কারের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতেন না। বরং আমাদের জগদীশ চন্দ্র বসুর নামই এই আবিস্কারের সাথে জড়িয়ে যেত। যাহোক এখন সবাই কোন আর্টিকেল কোন জার্নালে প্রকাশের জন্য submit করার পূর্বে এখানে submit করে। একটা দেশ academically বা scientifically কতটুকু এগিয়ে তার একটা litmus test হতে পারে ওই দেশের কতজন বিজ্ঞানী বা শিক্ষক ওখানে রেজিস্টার্ড author বা মাসে ঐখানে কতগুলো আর্টিকেল submit করা হয় সেই সংখ্যা দিয়ে। খুবই আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় হলো আমার জানামতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের বা ছাত্রের সংখ্যা আমিসহ ৪-৫ এর বেশি নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়েকজন থাকতে পারে। কিন্তু আমি প্রায় নিশ্চিত দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখানে রেজিস্টার্ড author না। আরো আশ্চর্য্যের বিষয় হলো অনেকেই এর নামই শুনেনি কখনো। বাংলাদেশে ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা এবং এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যতজন যোগ্য শিক্ষক কাম গবেষক প্রয়োজন তা কি আছে? কলকাতায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় প্রতিদিন শুধু পদার্থ বিজ্ঞানে একাধিক আর্টিকেল submit করা হয়। অর্থাত ওখান থেকে এক সপ্তাহে শুধু এক বোস সেন্টার বা সাহা ইনস্টিটিউট থেকে যে সংখ্যক আর্টিকেল submit করা আমাদের এখান থেকে তা এক বছরেও করা হয় না!!!

কামরুল হাসান
অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

0 comments:

Post a Comment