Kamrul Hassan
বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বিজয়ের ঠিক আগ মুহুর্তে কাদের হত্যা করেছিল? ১৪-ই ডিসেম্বর যে আমরা বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস হিসাবে পালন করি তো ওই সময় কাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল? খোঁজ নিয়ে দেখুন দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি বুদ্ধিজীবী যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল তারা শিক্ষক ছিলেন। হানাদার বাহিনী জানত মানুষ গড়ার এই কারিগরদের হত্যা করলে এরা সহজে আর মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। তারা জানত এদেরকে হত্যা করতে পারলে বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়া যাবে। আমার ধারণা ২০১৫ সালে এসে এক ভিন্ন আঙ্গিকে বুদ্ধিজীবী নিধনের পায়তারা চলছে। এখনতো দিন পাল্টেছে। এখন যেমন যুদ্ধ করে দেশ দখল করার দিন শেষ ঠিক তেমনি সরাসরি হত্যা করে বুদ্ধিজীবী নিধনের দিনও শেষ। শিক্ষকতা পেশার যে মান-সম্মান আছে সেটা যদি আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা যায় তাহলে বুদ্ধিজীবী তথা শিক্ষকরা আস্তে আস্তে নীতিভ্রষ্ট হবে, মেধাবীরা এই চাকুরিতে আসতে নিরুৎসাহী হবে এবং এভাবে জাতি একদিন মেধাহীন হয়ে যাবে। ফরাস উদ্দিন সাহেবের নেতৃত্বে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের সুপারিশমালার দিকে তাকালে তারই খুব স্পষ্ট লক্ষণ পাওয়া যায়। মনে হচ্ছে এর মাধ্যমে আরো একদফা ভিন্নতরভাবে বুদ্ধিজীবীদের উপর আঘাত আনার পায়তারা চলছে।
ফরাস উদ্দিনের মাঝে রাজাকার আলবদরের প্রেতাত্মা ভর করে থাকতে পারে। বিষয়টা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি আর আশা করছি বর্তমান সরকার এই ফাঁদে পা দিবে না। বুঝতে হবে এই সরকারকে কারা বার বার বিতর্কিত করেছে। কারা বার বার দেশে দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এই আমলারা ভুঁয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে এবং টাকার বিনিময়ে দিয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। কারা দুর্নীতিতে শীর্ষে। নিঃসন্দেহে এই আমলারা। তাই সরকারকে অনুরোধ করছি: ভেবে দেখুন। শেষ পেরেগটা মারার আগে please আরো একবার ভেবে দেখুন।
কামরুল হাসান
অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
0 comments:
Post a Comment