সরকারের প্রস্তাবিত পে স্কেল বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বর্তমানের চেয়ে তিন ধাপ নিচে বেতন পাবেন। ফলে বেতন স্কেল বর্তমানের চেয়ে আরো নেমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমনকি আজ বুধবার কয়েকটি বিশ্ববি
দ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচি থেকে দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান পে স্কেলে সহযোগী অধ্যাপক থেকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলে তার বেতন স্কেল ২৯ হাজার টাকায় (গ্রেড-৩) উন্নীত হয়। পরবর্তীতে টাইম স্কেল পাওয়ার মাধ্যমে ওই বেতন স্কেল ৩৩ হাজার ৫০০ (গ্রেড-২) টাকা হয়।
এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এক-চর্তুাংশ অধ্যাপককে সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা হলে ওই অধ্যাপকদের বেতন ৪০ হাজার টাকায় (গ্রেড-১) উন্নীত হয়। কিন্তু বর্তমান সচিব কমিটি যে পে স্কেলের সুপারিশ করেছে তাতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-১ উন্নীত হওয়ার সুযোগ থাকছে না। অন্যদিকে শিক্ষকদের মর্যদাও কমছে। বর্তমান পে স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা মন্ত্রী পরিষদ সচিবের পরের ধাপেই বেতন পেতেন। কিন্তু প্রশাসনে নতুন সিনিয়র সচিব পদ সৃষ্টি করার এবং সুপারিশকৃত বেতন স্কেলে সিনিয়র সচিবের বেতন সচিবের উপরে নির্ধারিত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতনের ক্ষেত্রে আর মন্ত্রী পরিষদ সচিবের পরের অবস্থান থাকছে না। দ্বিতীয়ত সিলেকশন গ্রেড আর টাইম স্কেল না থাকায় তারা যুগ্ম সচিবের পদমর্যাদায় বেতন পাবেন। কিন্তু বর্তমান বেতন কাঠামোয় তাদের অবস্থান মন্ত্রী পরিষদ সচিবের পরেই রয়েছে।
প্রস্তাবিত পে স্কেল সম্পর্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ‘এই বেতন স্কেলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে অপমান করা হয়েছে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষণ করেন।’
সচিব কমিটির সুপারিশ অর্থ মন্ত্রীর নিকট পেশ করার পরেই ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই পে স্কেলের সুপারিশ পরিবর্তন করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে যতদিন পর্যন্ত শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে স্কেল বাস্তবায়িত না হয় ততদিন পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন শিক্ষক নেতারা।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি, জবি, রাবি, জাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা ও সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এই দাবি বাস্তবায়িত না হলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনাক্রমে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে।
Source:http://goo.gl/G1TbuO
0 comments:
Post a Comment