প্রস্তাবিত জাতীয় অষ্টম বেতন কাঠামোতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন কমে যাওয়ায় শিক্ষক সমাজে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, গত ৮ জুলাই আমরা উপাচার্য পরিষদের পক্ষে সচিবালয়ে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে তার বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। বস্তুত কেবল উপাচার্য পরিষদ নয়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনসহ গোটা শিক্ষক সমাজ এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বিভিন্ন কর্মসূচি, বৈঠক, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর অসঙ্গতি ও এর বিপরীতে তাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরে আসছেন। কারণ 'বেতন ও চাকুরি কমিশন ২০১৩'-এর সুপারিশের ওপর সচিব কমিটি যে সুপারিশ জমা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যে অবস্থান ছিল, তা থেকে প্রস্তাবিত অষ্টম
বেতন কাঠামোতে নূ্যনতম দুই ধাপ নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোর প্রায় প্রতিটি ধাপে যেখানে প্রায় দ্বিগুণ বেতন কাঠামো বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে, সেখানে সিলেকশন গ্রেড ছাড়া শিক্ষকদের বৈতনিক অবস্থান তিন ধাপ নিচেও নেমে যেতে পারে। এই সুপারিশ শিক্ষকদের যেমন বিস্মিত, তেমনই ক্ষুব্ধ করেছে খুব সঙ্গত কারণেই। বিস্ময়কর এই কারণে যে, যেখানে প্রত্যেকটি নতুন বেতন কাঠামো মানে সবাই বেতন বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে, সেখানে শিক্ষকদের বেতন কমবে! এটা আমার কাছে রীতিমতো অবিশ্বাস্যই মনে হয়। ক্ষোভের কারণ এই যে, যেখানে আর সবার বেতন বাড়বে, সেখানে শিক্ষকরা এমন কী দোষ করেছেন যে, তাদের বেতন কমবে!
এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে আমি প্রতিবেশী ভারতের ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশে শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কিত অনুচ্ছেদটি তুলে ধরতে চাই। এতে বলা হয়েছে- ÔTeachers in various categories should be given incentives by way of advance increments and higher grade pay to compensate them for higher qualifications at the entry point. Also, it would be a significant incentive for more meritorious scholars to join the teaching profession, particularly at this juncture when both the corporate sector and foreign educational institutions are luring the young talented persons away with higher salaries and better pay packages.’
ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষা পরিস্থিতি কাছাকাছি, বলা বাহুল্য। যেখানে ভারতের বেতন কমিশন শিক্ষকদের মর্যাদ রক্ষা ও বৃদ্ধিতে এমন অবস্থান নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের বেতন কমিশনের সুপারিশে শিক্ষকদের মর্যাদা কমিয়ে দেওয়া সত্যিই দুঃখজনক। দুঃখজনক শুধু এই কারণে নয় যে, শিক্ষকরা বঞ্চিত ও অপমানিত বোধ করছেন; দুঃখজনক এই কারণেও যে এমন একটি সুপারিশ করা হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে। তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে কীভাবে নিরলস পরিশ্রম ও অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে চলছেন, আমরা জানি। স্বাধীনতার চার দশক পর তার সরকারের আমলেই প্রথম সঠিক ও যুগোপযোগী একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তার সরকারের আমলেই প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতিবছর বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার দুঃসাহসিক অভিযান সম্পন্ন করা হচ্ছে। নারী শিক্ষার প্রসারে স্নাতক পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনা শুধু নয়, উপবৃত্তিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের ব্যাপারে কতটা উৎসাহী ও উদার। যে কারণে তাকে আমরা বলে থাকি 'শিক্ষা প্রধানমন্ত্রী'। তার সময়ে শিক্ষকদের বেতন নিয়ে এমন বৈষম্য সত্যিই বেদনাদায়ক।
ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেভাবে নিজেদের অবস্থানকে নানা বিশেষণ ও সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করে উচ্চতর করে তুলছে_ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি সেদিকে যেতে চাই না। আমি বরং শিক্ষকদের দাবিগুলোরই পুনরাবৃত্তি করতে চাই। তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি হচ্ছে_ অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি বেতন কমিশন গঠন করতে হবে। শিক্ষকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময়ে ঘোষিত বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে সব বৈষম্য দূর করে সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমতুল্য করতে হবে। যদি অষ্টম বেতন কাঠামোতে প্রস্তাবিত পদটি (সিনিয়র সচিব) রাখা হয়, তাহলে অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা পদায়িত সচিবের সমতুল্য করতে হবে। সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো ক্রমানুসারে নির্ধারণ করাসহ শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন স্কেল নিশ্চিত করতে হবে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদাগত অবস্থান নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বোঝার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ আনা যায়। শ্রীলংকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো রয়েছে। দেশটিতে আমাদের দেশের অনুরূপ প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পর্যন্ত পাঁচটি ধাপ আছে। সেখানে বর্তমানে একজন প্রভাষকের মূল বেতন প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ৩৯,৭৫৪ থেকে সর্বোচ্চ ৪৮,৪৪৫ রুপি। একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের মূল বেতন প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৬৭,১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৭,৭৭৫ রুপি। এই মূল বেতনের বাইরে শিক্ষকরা বেশ কিছু ভাতা পান, যেমন_ জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ ভাতা প্রতিমাসে ৭,৮০০ রুপি, একাডেমিক ভাতা হিসেবে একজন শিক্ষক মূল বেতনের ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে গবেষণা ভাতা ও বিশেষ ভাতা যথাক্রমে মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আট বছর চাকরি করার পর শুল্কমুক্ত গাড়ি ক্রয় করতে পারেন এবং এই সুবিধা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নবায়নযোগ্য।
পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও ভিন্ন বেতন স্কেল রয়েছে। দেশটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পদের স্তর আছে তিনটি। যথাক্রমে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক। সেখানে একজন সহকারী অধ্যাপকের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ১,০৪,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২,১১,২৫০ রুপি এবং একজন অধ্যাপকের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ২,৩৪,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪,০৫,৬০০ রুপি। উল্লেখ্য, জেনারেল পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল ও মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। পরে পাকিস্তান পিপলস পার্টি ক্ষমতায় আসার পর আমলাদের পরামর্শে উচ্চশিক্ষা কমিশন ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট উচ্চশিক্ষা কমিশন রাখার পক্ষে যুগপৎ রায় দেওয়ার ফলে কমিশন বহাল থাকে। উপরন্তু ব্রেইন-ড্রেইন বন্ধ করার জন্য পাকিস্তান সরকার উচ্চশিক্ষা ফান্ড গঠন করে। দেশের সম্পূর্ণ অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবীদের বিদেশ পাঠায় এবং উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করে।
ভারতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদের স্তর তিনটি। যথাক্রমে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক। পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মতো ভারতে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নেই; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য, অবস্থান ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশটিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেতন-ভাতা ও মর্যাদার তারতম্য রয়েছে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি শুরুর অব্যবহিত পর শিক্ষকরা সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত রিসার্চ প্রমোশন গ্র্যান্ট নামক এককালীন ভাতা পেয়ে থাকেন। এর বাইরে গবেষণার জন্য রয়েছে সরকারি বিভিন্ন অনুদান।
বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি ছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়নের সুদৃঢ় ভিত রচিত হবে কীভাবে? একই সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রায়শই শিক্ষকদের মান বৃদ্ধির কথা বলি। শিক্ষকদের মান নিয়ে হতাশার কথা বলি। কিন্তু শিক্ষকরা যদি যথার্থ সুযোগ সুবিধা না পান, যদি উপযুক্ত মর্যাদা না পান, তাহলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে কীভাবে? আর মেধাবী শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মান উন্নীত হবে কীভাবে?
অষ্টম বেতন কাঠামোর সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী হওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, আমি তার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষন করি। এই 'স্বাবলম্বী' হওয়া মানে আসলে শিক্ষার্থীদের ওপর বেতন ও অন্যান্য খরচের বোঝা বাড়ানো। আমরা জানি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক টাকা খরচ করে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দেশে এখনও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের উচ্চশিক্ষার ব্যয় নির্বাহের সক্ষমতা নেই। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রতিবছর দেখি, কীভাবে দারিদ্র্যপীড়িত অভিভাবকদের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী সন্তানরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে হলে থেকে পড়াশোনা করছে। গরিব-দুঃখী মানুষের মেধাবী সন্তানরা যখন এভাবে উঠে আসে, তখন মনে হয় বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। স্বাবলম্বী হওয়ার নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ বেতন ধার্য করে এসব দরিদ্র মেধাবীর শিক্ষাজীবন রুদ্ধ করার প্রয়াস কি উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থতা নাকি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ? ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার খ্যাতনামা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভ্যন্তরীণ খাত থেকে বার্ষিক বাজেটে ১০-১৫ শতাংশ অর্থের জোগান দেয়। অনুরূপভাবে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সমপরিমাণ অর্থের জোগান দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন উলি্লখিত দেশগুলোর মতো বেতন-ভাতাদি পাবেন না?
সবচেয়ে বেদনাদায়ক হচ্ছে সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার সুপারিশ। একজন অধ্যাপক জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে প্রায় ৬০ কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সে সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকে উন্নীত হন। অর্থাৎ সচিবদের অবসরের বেশি বয়সে তাদের সমসাময়িক বয়সের দেশি-বিদেশি সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকেন। এছাড়া মনে রাখতে হবে, চাকরি জীবনে একজন শিক্ষকের আসলে বেতন-ভাতা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। আমি মনে করি, সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক এবং সিনিয়র সচিবের (প্রস্তাবিত) বেতন-ভাতাদি সমান হলে কারও জন্য সেটি অবমাননাকর হবে না; বরং তা সপ্তম বেতন কাঠামোর অনুরূপ হবে।
আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করবে। আমি তাকে যতদূর জানি, শিক্ষকদের তথা শিক্ষা খাতের বঞ্চনা তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। বেতন কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত অন্যদের বিবেক জাগ্রহ হবে এবং শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ আন্দোলন কর্মসূচির কথা ভেবেছেন। বস্তুত শ্রীলংকায় আমরা দেখেছি, টানা চার মাস কর্মবিরতি পালন করে শিক্ষক সমাজ দাবি আদায় করেছে। এতে দাবি আদায় হয়েছে বটে, শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে না। এখানকার শিক্ষক সমাজ অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও শিক্ষাবান্ধব। সরকার শিক্ষকদের সেই দায়িত্বশীলতার মর্যাদা দেবে এবং তাদের দাবি পূরণে অবিলম্বে এগিয়ে আসবে।
Source: http://www.samakal.net/2015/07/21/150314
0 comments:
Post a Comment