Friday, August 7, 2015

স্বীকৃতি মেলে রাজনৈতিক প্রভাবে দলাদলিতে, গবেষণাতে নয়

 Abdul Majed Patwary

আমরা শীঘ্রই ধনী দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।সরকার সময় বেঁধে দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে 2041 এ তা ঘটতে যাচ্ছে। স্বপ্ন আমিও দেখি, আপনিও দেখেন।
কেউ কেউ মনে করে হলেও হতে পারে, সরকার যেহেতু অনেক কিছুতেই সফল। আমি সরকারের সফলতার প্রশংসা করি। এবং আশা করি এই সফলতার ধারাবাহিকতা দিন দিন বাড়বে।।
কিন্তু মাত্র পচিশ বছরে উন্নত দেশ!!!
শুধুই রাজনৈতিক কথার ফুলঝুড়ি। তা না হলে বলল আপনার প্রস্ততি কোথায়?
যে কোন দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, তারা আজ আহত বেদনায় ভারাক্রান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় হতে লাখো শিক্ষাথী বেরূচ্ছে, যাঁরা জানে না যে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পুরনো জিনিস শিখাবে না, নিত্য নতুন জিনিস
উদ্ভাবনই এর আসল কাজ।
আমরা আমাদের মহামান্য শিক্ষকদের হাজারবার বলতে শুনেছি, তাদেরকে তাদের শিক্ষকরা নিরদেশ দিতেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য। তাদের দেখানো সে পথ এখন কেন থমকে গেল? নাকি তাদেরকে অবমূল্যায়ন করতে করতে তাঁরা তাদের পথের দিশা হারিয়ে ফেলেছে?
কেন বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন বিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। এলাকা পরিষদের অফিসে পরিণত হতে আর বেশি দেরি নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এলাকার পরিচিত এই ভিত্তিতে। কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে বিভিন্ন দেশ হতে আগত বিশ্ব মানের ব্যক্তিত্ব।
সেটা আরও ত্বরান্বিত হবে সরকারের সচিবদের বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বিরোধী রনকৌশলে। ভবিষ্যতে সরকার ভি সি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সংকটের মুখোমুখি হবেন। সচিবরা সে পদে দেদারছে নিজেদের সহকমীর্দের নিয়োগ দিবেন ।
কেউ কেউ আবার বলছেন শিক্ষকরা এখন কোনও কাজই করেন না । এ কথা মোটেই সত্য নয়। আমার দেখা মতে যারা কাজ করে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় খুবই নগন্য। স্বীকৃতি মেলে রাজনৈতিক প্রভাবে দলাদলিতে, গবেষণাতে নয়। দেশের অর্থ মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা অধ্যাপক হতে অল্প সময় লাগে রাজনৈতিক প্রভাবে। এটা বন্ধ করবেন কিভাবে? তার উত্তর জানা নেই তাঁরও। তবে এতটুকু তিনি বুঝেছেন শিক্ষকদের মর্যাদা কমিয়ে দিলে এর প্রভাব কমবে। নমস্য মাননীয় মন্ত্রী নমস্য ।

0 comments:

Post a Comment