মানিক মুনতাসির
সিলেকশন গ্রেড আর টাইমস্কেল বহাল রাখা না রাখার দ্বন্দ্বে দীর্ঘায়িত হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো (পে-স্কেল)। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোন গ্রেডে রাখা হবে তাও নির্ধারণ করতে পারছে না সরকার। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থ বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এমন বেতন কাঠামো দিতে হবে, যেন কোনো পক্ষই অসন্তুষ্ট বা নাখোশ না হয়। বিশেষ করে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু থেকে মাঠপর্যায় কোনো স্তরে ক্ষোভ বা হতাশার সৃষ্টি করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।
এমনকি চলতি মাসে তা মন্ত্রিসভায় উঠবে কি না এ নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের আগে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিষয়ে নেওয়া হতে পারে মন্ত্রীদের মতামত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের ব্যাপারে করণীয় বিষয়েও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি বাদ দিয়েই প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন বেতন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার যে দাবি উঠেছে, সেটিও আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আগের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের পরিবর্তে অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া যায় কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে অর্থ বিভাগ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজছেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে গত সপ্তাহে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের ৩০৬ জন কর্মকর্তাকে টাইমস্কেল দেওয়া হয়েছে। ১৩ আগস্ট প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ৩ আগস্ট ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তার টাইমস্কেল ২ জুলাই ২০১৫ থেকে কার্যকর হবে। এ নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। সরকার একদিকে বলছে নতুন বেতন কাঠামোতে টাইমস্কেল থাকবে না, অন্যদিকে আবার সদ্য টাইমস্কেল প্রদানের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে। তাহলে টাইমস্কেল পাওয়া ৩০৬ জন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ কী হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ থেকে পৃথক নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড বা টাইম স্কেলের যে কোনো একটি বহাল রাখতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রথমে এই পদ্ধতির পক্ষে ছিলাম না। আপনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এটা আবার ভেবে দেখা উচিত।' 'টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড- একসঙ্গে দুটি রাখা সম্ভব নয়। এর মধ্যে যে কোনো একটি বাদ দেব। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা নেই।' বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সমন্বয় কমিটি মন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবি-দাওয়া তুলে ধরে। এতে প্রস্তাবিত বেতন স্কেলে আগের মতো সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহালের দাবি জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সমন্বয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবির আহমেদ ভূইয়া, মহাসচিব ফিরোজ খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।এমনকি চলতি মাসে তা মন্ত্রিসভায় উঠবে কি না এ নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের আগে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিষয়ে নেওয়া হতে পারে মন্ত্রীদের মতামত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের ব্যাপারে করণীয় বিষয়েও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি বাদ দিয়েই প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন বেতন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার যে দাবি উঠেছে, সেটিও আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আগের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের পরিবর্তে অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া যায় কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে অর্থ বিভাগ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজছেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে গত সপ্তাহে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের ৩০৬ জন কর্মকর্তাকে টাইমস্কেল দেওয়া হয়েছে। ১৩ আগস্ট প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ৩ আগস্ট ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তার টাইমস্কেল ২ জুলাই ২০১৫ থেকে কার্যকর হবে। এ নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। সরকার একদিকে বলছে নতুন বেতন কাঠামোতে টাইমস্কেল থাকবে না, অন্যদিকে আবার সদ্য টাইমস্কেল প্রদানের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে। তাহলে টাইমস্কেল পাওয়া ৩০৬ জন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ কী হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ থেকে পৃথক নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
Source: http://www.bd-pratidin.com/city/2015/08/19/100816
0 comments:
Post a Comment