আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এই দুটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সমিতির কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে দুই নভেম্বর পর্যন্ত ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু আজ সমিতির সভায় এই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধ্যাপক খবির বলেন, সভায় ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে—এটা ঠিক। কিন্তু আমরা দ্রুত সমিতির জরুরি সভা ডেকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার চেষ্টা করব।
এ দিকে শিক্ষকদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে ফয়সালকে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দেওয়া নিয়োগ, বাতিলের দাবিতে উপাচার্যকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিয়োগ বাতিল করা না হলে ১৯ অক্টোবর থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার।
গত ১৩ জুলাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে অ্যাডহক (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ফয়সালকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ফলে নিয়োগ পেলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি।
এরপর গত ২৩ আগস্ট তাঁর ওই নিয়োগ বাতিল করে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে পুনরায় তাঁকে অ্যাডহক ভিত্তিক নিয়োগ দেন উপাচার্য। এরপর থেকেই শিক্ষকেরা তাঁর নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
Published in: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/657562
0 comments:
Post a Comment