Monday, October 12, 2015

মর্যাদার প্রশ্নেই মতভিন্নতা - বেতন কমিশন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আন্দোলন

মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন , ফরিদ উদ্দিন আহ​মেদ
অষ্টম জাতীয় বেতন কমিশনে শিক্ষকদের মর্যাদার অবনমন হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতা ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ যে অভিযোগ করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যে কমিশনের সুপারিশে এ রকম কিছু ছিল না। নতুন বেতন কমিশনের পর সংক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা যে আন্দোলন করছেন, তার পটভূমিতে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁরা দুজন এসব কথা বলেন।


অষ্টম জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন বলেছেন, বেতন কমিশনের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অভিযোগ যৌক্তিক নয়। কমিশন কোনোভাবেই তাদের পদমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেনি। কমিশনের দায়িত্ব ছিল কোন গ্রেডে কী বেতন হবে সেটি ঠিক করা। কোন গ্রেডে কারা থাকবেন, সেটি নির্ধারণ করেছে সরকার।


বেতনকাঠামো পুনর্বিবেচনায় মন্ত্রিসভা কমিটি গঠনের পর শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে, তিনি বলেন যে বেতনকাঠামোয় যদি শিক্ষকদের পদমর্যাদার অবনমন ঘটে থাকে, সেটি ঘোরতর অন্যায় এবং তার যৌক্তিক মীমাংসা হওয়া দরকার।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন যে অন্যান্য দেশে কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা করে মন্ত্রিসভা কমিটি, এখানে করেছে সচিব কমিটি। সচিবেরাও একটি পক্ষ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, তাঁদের এ আন্দোলন বেতন-ভাতা নিয়ে নয়, শিক্ষকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। সপ্তম বেতন কমিশনে তাঁদের যে মর্যাদা ছিল, অষ্টম কমিশনে তা কয়েক ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য শূন্য গ্রেড এবং সুপার গ্রেড সৃষ্টি করে শিক্ষকদের দৃশ্যত চার ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।


শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করে আন্দোলন করার বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ছেলেমেয়েদের জিম্মি করে কিছু করতে চাইছি না। সরকার যে কমিটি করে দিয়েছে সেই কমিটিতে আলোচনা হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে, আমরা পাঁচ মাস অপেক্ষা করেছি।’ সে জন্য আর বিলম্ব না করে এটি সমাধান করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

0 comments:

Post a Comment