ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের প্রায় সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট একটি নিত্য বাস্তবতা। এখন পর্যন্ত চার বছরের ডিগ্রি চার বছরেই শেষ হবে এই সাধারণ ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। জীবনের কিছু মূল্যবান সময় অতিরিক্ত খরচ করে স্নাতক ডিগ্রি নিতে হবে এই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তারপরও তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে জীবন গড়ার প্রত্যয়মাখা হাসি দেখা যায় তারুণ্যের স্বাভাবিক নিয়মেই। কিন্তু সময় যত গড়ায়, ততই বিষয়টির তিক্ততা এবং ভয়াবহ বাস্তবতা তাদের গ্রাস করতে শুরু করে। সেশনজট শুধু ডিগ্রি পাওয়ার সময়কেই দীর্ঘায়িত করে না, এটি একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক এবং রাষ্ট্রিক গুরুত্বকে খর্ব করেছে চরমভাবে, অন্যদিকে একই বয়সী একটি প্রজন্মকে পারস্পরিক অচেনা এবং বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তৈরি করছে পারস্পরিক যোগাযোগহীন এক প্রজন্ম।
এই বিচ্ছিন্নতা তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে দিচ্ছে। কেউ আগে, কেউ পরে চাকরিতে প্রবেশের ফলে তারা পরস্পরকে ঘৃণা এবং অযাচিত সমালোচনাও করছে। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রজন্ম সংহতি। সত্যিকারের উন্নয়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রজন্মের সবাই সবাইকে বোঝা এবং জানা খুবই জরুরি। এই বোঝাপড়া এবং প্রজন্ম সংহতি নির্মাণের একটি প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথমেই দেখা যাক, সেশনজট কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামাজিক এবং রাষ্ট্রিকভাবে গুরুত্বহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আমার মনে আছে, ছাত্রজীবনে অসুস্থ হয়ে আমি যখন তৎকালীন পি জি হাসপাতাল বা আই পি জি এম আর-এর নাক কান গলা বিভাগে যাই, তখন সেখানকার একজন ডাক্তার আমাকে পরীক্ষা করে বলেছিলেন, তোমার একটি অপারেশন লাগতে পারে, তুমি ভর্তি হয়ে যাও। আমি ভীত হয়ে বললাম, স্যার, আর কয়েকদিন পর আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। তিনি বললেন, দেখো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার কোনও ঠিক নেই, তোমার জীবন আগে। আজ থেকে প্রায় বিশ বছর আগে একজন চিকিৎসক যে মন্তব্য করেছেন, বিশ বছর পরেও হয়তো তাই করবেন। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখের মতো অনিশ্চিত ব্যাপারকে কেন্দ্র করে তিনি একজন রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটি স্থির ধরে তিনি যদি রোগীর অপারেশান পেছান, তাহলে দেখা যাবে পরীক্ষা আবার পিছিয়ে অপারেশানের তারিখে পড়তে পারে। পেছানোর কারণ শিক্ষকের সঠিক সময়ে ক্লাস শেষ না করা অথবা ছাত্রদের পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনও হতে পারে। সমাজে বসবাসকারী একজন নাগরিক হিসেবে চিকিৎসক এই বিষয়ে সম্যক অবগত আছেন। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন, বাংলাদেশের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকেই তার চিকিৎসক এই কথাটিই বলতেন। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় নাগরিক সমাজের কাছে কিংবা ভিন্ন পেশার লোকদের কাছে নির্ভরতাহীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে কাঠামোগত অবিন্যস্ততার কারণে, সন্ত্রাস বা প্রাণহানিকর পরিস্থিতিকে একপাশে রাখলেও।
এরপর আসা যাক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন সরকারের চাহিদা মোতাবেক বিবিধ প্রথম শ্রেণির ক্যাডার এবং নন ক্যাডার কর্মকর্তা পদে লোক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই যে বছরের এই সময়ে বি সি এস-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। আমাদের ছাত্র জীবন থেকে আজ পর্যন্ত দেখা গেছে যে বি সি এস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ছাত্র-ছাত্রীরা সামনে থাকা ব্যাচেলর কিংবা মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা পেছানোর জন্য উপাচার্য, ডিন কিংবা বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে ঘিরে ধরেছে এবং তারা নৈতিক কারণে পরীক্ষা পেছাতে বাধ্য হয়েছেন। আর সেই নৈতিকতা একদিকে হচ্ছে, সেশনজটহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের অক্ষমতার ক্ষতিপূরণ করার নৈতিকতা, আর অন্য দিকে রয়েছে ‘ছাত্ররা তো পড়াশুনা করে চাকরি করার জন্যই’ এই প্রায়োগিক নৈতিকতা।
তাহলে এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের পর কি পি এস সি তার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারত না? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো গ্রাজুয়েটের জোগানদাতা, যারা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হবেন। এই জবাব যদি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে চাওয়া হয়, তাহলে তিনি হয়তো নির্দ্বিধায় জবাব দেবেন, আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করব? ঢাকার ফলাফল বেরিয়েছে, তো জাহাঙ্গীরনগর এর বের হয়নি। রাজশাহীর বের হয়েছে, তো চট্টগ্রামের বের হয়নি। এর বিপরীতে কি আর কোনও কথা থাকে? তারপরও যদি ধরে নেই, সবচেয়ে ক্ষমতাবান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পি এস সি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করলেন, বি সি এস বিজ্ঞপ্তি পেছানোর। পি এস সি চেয়ারম্যান নির্দ্বিধায় জবাব দিতে পারেন যে, আপনার বাণিজ্য কিংবা কলা অনুষদের ফলাফল হয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান অনুষদের ফলাফল বের হয়নি। সুতরাং আমি কার জন্য বিজ্ঞপ্তি পেছাব। এই কথার কি কোনও পাল্টা জবাব হয়? হয় না। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি এবং অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে। এভাবেই গ্রাজুয়েটের জোগানদাতা হিসেবে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের জন্য পি এস সি এর অপেক্ষা করার কথা, সেখানে চিত্রটি উল্টে গিয়ে পি এস সি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপেক্ষা করে চলতে বাধ্য হয়, গুরুত্ব হারায় বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশে যেখানে আবহাওয়া একই রকম, উৎসব এবং পার্বণগুলো একই রকম, সেখানে একটি নির্দিষ্ট ব্যাচে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের ব্যচেলর ডিগ্রির ফলাফল একই সময়ে বের হওয়ার কথা এবং তারা চাকরিতে একই সময়ে প্রতিযোগিতা করার কথা। অর্থাৎ সামাজিক রেসিং ট্র্যাকটি সবার জন্য একই হওয়ার কথা, যেমন তাদের এস এস সি কিংবা এইচ এস সি এর ফলাফল একই সঙ্গে বের হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ, রাজনৈতিক বিবেচনায় এমন সব ব্যক্তিকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের অনেকেই শিক্ষা পরিকল্পনা সম্পর্কে উদাসীন কিংবা দেশের ভবিষ্যৎ এবং প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মায়াবোধহীন। এই ধরনের উপাচার্যরা, যারা চেয়ারের মায়া এবং চেয়ারের সুবিধাদি ছাড়া আর কিছু বোঝেন না এবং কেউ কেউ কর্মজীবনের একটা বিরাট সময় গবেষণা এবং অধ্যাপনায় না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সিন্ডিকেট একাডেমিক কাউন্সিলের বিবিধ পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এ ব্যস্ত ছিলেন, তাদের পক্ষে সেশনজটের মতো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়, তাদের সেই উদ্যোগও কখনও পরিলক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের একটি ফোরাম আছে। এই ফোরামের পক্ষ থেকে সেশনজট নিরসনের জন্য আচার্য কিংবা প্রধানমন্ত্রী কিংবা শিক্ষামন্ত্রী বরাবর পেশ করার জন্য কোন সমন্বিত পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি কখনও, আমার জানা মতে। তবে প্রসঙ্গক্রমে শিক্ষকদের বিচিত্র বর্ণের দলীয় রাজনীতিকেও দোষারোপ করা যেতে পারে। কারণ এই ধরনের উপাচার্যরা দলীয় শিক্ষক রাজনীতিরই ফসল। তাদের পরিচিতি গড়ে ওঠে এই শিক্ষক রাজনীতির ভেতর দিয়েই। বলার অপেক্ষা রাখে না, তুলনামূলক কম মেধার দলীয় লোককে উপাচার্য নির্বাচন করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও দায় এড়াতে পারেন না।
এরপর আসা যাক, প্রজন্মের যোগাযোগহীনতা প্রসঙ্গে। যদি একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ধরা যায়, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাহলেও দেখা যাবে একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ, যারা একই সময়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল তাদের একেক বিভাগের ফলাফল একেক সময়ে প্রকাশিত হওয়ার ফলে তাদের চাকরিতে প্রবেশের সময় হের ফের হচ্ছে। কেউ আগে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আর কেউ পরে। পারস্পরিক ঈর্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ঘৃণাবোধ বাড়ছে। এর ফলে চাকরির প্রতিযোগিতার বাজারে দেরিতে প্রবেশ ছাড়াও কতগুলো মনস্তাত্বিক খারাপ প্রভাব রয়েছে। সেই খারাপ প্রভাবের মধ্যে রয়েছে মেধাবীরা পরস্পরকে না চিনতে না পারা অর্থাৎ একধরনের যোগাযোগহীনতায় আক্রান্ত হওয়া। ষাটের দশকের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার সময়ের বিভিন্ন বিভাগের মেধাবী ছাত্রদের নাম বলতে পারবেন, অন্তত যারা তার ব্যচমেট ছিলেন। আজকের কোনও তরুণ অর্থনীতি বিভাগের প্রথম হওয়া ছাত্র হয়েও, পদার্থবিদ্যা বিভাগে তার ব্যাচের প্রথম হওয়া ছাত্র কে তা নাও জানতে পারেন যদি কলেজে তার ক্লাসমেট না হয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় তাকে চেনাবে না, চেনাতে সক্ষম নয়। কারণ অর্থনীতির ছাত্রটি হয়তো পদার্থবিদ্যার ছাত্রের অনেক আগেই বের হয়ে গেছে। হয়তো একই কনভকেশানও পায়নি। এইভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট রোগে আক্রান্ত হয়ে একধরনের অচেনার পরিসর নির্মাণ করে, যেখানে চেনার পরিসর আরও বিস্তৃত হওয়ার কথা। এই পরস্পরকে অচেনা প্রজন্ম আসলে এক ধরনের পঙ্গু প্রজন্ম। রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য চাকরি কিংবা অন্য ক্ষেত্রে যৌথ ভূমিকা রাখতে গিয়ে এই ব্যবধান কর্ম বন্ধুত্ব নির্মাণে বাধা তৈরি করে। অনেক সময় যৌথ নৈতিক অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। রাষ্ট্র ও সমাজ এতে কম উৎপাদনশীল হয়ে পরে।
অন্যদিকে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সমাজের যেকোনও পেশায় কিংবা কর্মে অনৈতিক চাপ এড়িয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের পারস্পরিক চেনাজানা, সংহতি এবং বোঝাপড়া অনেক কার্যকর। সরকারি চাকরিতে অযাচিত অন্যায় রাজনৈতিক চাপ কিংবা ঘুষ দুর্নীতির প্ররোচনা এড়িয়ে কাজ করা যায়, যদি কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যাচমেট বা বন্ধুরা নৈতিক সমর্থন জোগায়। ব্যবসা বাণিজ্য এবং যেকোনও কল্যাণমুখী সামাজিক উদ্যোগ সহজে বাস্তবায়ন করা যায় যদি পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি ভালোভাবে থাকে। সেক্ষেত্রে একজন আমলা বন্ধু তার উদ্যোক্তা বন্ধুর জন্য সহায়ক হয়ে ওঠেন। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমে আসে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও এই একই প্রজন্মের মানুষদের সংহতি চোখে পড়ে। একই বয়সী একটি প্রজন্মের অনেক মানুষ রাজনীতিতে, সিভিল সার্ভিসে, সামরিক বাহিনী, সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সক্রিয় থাকার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম অনেক বেগবান হয়।
একটি উৎপাদনশীল প্রজন্ম, বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মপরিসর নির্মাণ এবং গতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রের চাহিদা হচ্ছে একটি সমান বয়সী প্রজন্ম সমানতালে পা ফেলে একই সঙ্গে এগিয়ে যাবে, একটি প্রজন্ম-সেনাবাহিনীর মতো, কেউ আগেও না, কেউ পিছেও না। সেই যাত্রায় প্রজন্মের কমান্ডারকে রীতিমতো চোখে পড়বে, যিনি সবচেয়ে মেধাবী। সেশনজটের রোগ যেন কাউকে পিছিয়ে না দেয়।
বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের ছাত্রছাত্রী একই সময়ে ডিগ্রি পেয়ে বের হোক। তাতে প্রজন্ম সংহতি বাড়বে এবং জাতীয় উন্নয়নে সহায়ক হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Published in: http://goo.gl/dMW6t9
আরো পড়ুনঃ
রাষ্ট্র, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের বেতন
বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষদকের নিয়ে সাম্প্রতিক রাস্ট্রীয় অনাকাঙ্খিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া
0 comments:
Post a Comment