Tuesday, September 29, 2015

৮ম পে-স্কেল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষের কারণ

এমএম রহমান

সরকার সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮ম পে-স্কেল ঘোষণা করেছে। এ পে-স্কেল সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল-বেতন প্রায় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয়া হলেও প্রজাতন্ত্রের অধিকাংশ চাকরিজীবীদের মাঝে এ পে-স্কেল ব্যাপক ক্ষোভ, অসন্তোষ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৬টি ক্যাডার, সরকারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকম-লী ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে তারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তাদের ভাষায় এ পে-স্কেল অতীতের যে-কোন পে-স্কেলর তুলনায় বৈষম্যমূলক, অসম্মানজনক ও অতিমাত্রায় আমলাবান্ধব।সরকারকে এ পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে বেতন-ভাতা খাতে সরকারকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ-ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ৭ম পে-স্কেল ঘোষণা করলে তখন এরূপ অসন্তোষ দেখা দেয়নি। তাহলে এ পে-স্কেলকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে কেন এত অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হল তা খতিয়ে দেখা দরকার।এ অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ৮ম পে-স্কেল টাইমস্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড বাতিল করাই মূল কারণ। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে যে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু থাকলে বেতন-ভাতার হিসাবে বিশাল জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং বাজেট প্রণয়নে বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি করে। আরও বোঝানো হয়েছে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পরিবর্তে বার্ষিক ৩ থেকে ৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বেতন বৃদ্ধি করলে চাকরিজীবীরা অধিক লাভবান হবেন। কিন্তু, তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেল এ তথ্য সঠিক নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক আমলারা (যেমন, পে-কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রী সাবেক আমলা) তথ্য গোপন রেখে তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থে এই কাজটি করেছেন।টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের ক্ষেত্রে পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। ফলে পদোন্নতিজনিত কারণে যদি বেতন-ভাতার হিসাব আর বাজেট প্রণয়নে সমস্যা না হয় তাহলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের ক্ষেত্রেও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিষয়টি শুধু আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়; বিষয়টি মর্যাদার সঙ্গেও জড়িত। কারণ, বর্তমান পে-স্কেল সরকারি চাকরজীবীদের মর্যাদা নির্ধারণে শ্রেণী প্রথার পরিবর্তে তাদের গ্রেডকে বিবেচনায় ধরার প্রস্তাব করা হয়েছে।টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড কী তা আগে জানা দরকার। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও যখন একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে শুধু শূণ্যপদের অভাবে বা ওপরে আর পদ না-থাকাতে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয় না তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য তাকে ১টি বা ২টি গ্রেড উপরের স্কেলে বেতন-ভাতার সুবিধা দেয়া হয়। যেমন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষাসহ ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ৫ বছরে প্রথম পদোন্নতির কথা থাকলেও প্রথম পদোন্নতি পেতে ১০-১২ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরির ৪ বছর পূর্তিতে কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তাকে ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়।এখন দেখা যাক টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি বিলুপ্ত করার ফলে কারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পর জাতীয় বেতন-স্কেলের ৩য় গ্রেডে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপর একটি টাইম স্কেল পেয়ে তারা ২য় গ্রেডে উন্নীত হন। তারপর সিলেকশন গ্রেড পেয়ে তারা ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের ২৫% এই সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকেন। ৭ম পে-স্কেল সচিব ও সচিব পদ-মর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেড-প্রাপ্ত অধ্যাপকগণ ১ নম্বর গ্রেড ভোগ করতেন। কিন্তু ৮ম পে-স্কেল টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ আর কখনো ৩য় গ্রেড অতিক্রম করতে পারবেন না। অন্যদিকে ৮ম পে-স্কেল মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ১ নম্বর গ্রেডেরও ওপরে আরও ২টি সুপার গ্রেড সৃষ্টি করার ফলে প্রকৃত বিচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের থেকে ৪ ধাপ, জ্যেষ্ঠ সচিবের থেকে ৩ ধাপ আর সচিবের থেকে ২ ধাপ নিচে অবনমিত হয়ে যুগ্ম সচিবের স্তরে নেমে আসবেন।টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করার ফলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কৃষিসহ ২৬টি ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানা গেছে। ২৬ ক্যাডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে গ্রেড উন্নয়ন ঘটে। ফলে আর্থিক ক্ষতি বাদ দিলেও গ্রেড উন্নয়ন বন্ধ করাতে তাদের মর্যাদা অবনমিত হবে। এই ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণের সর্বোচ্চ ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তাগণ ৪র্থ গ্রেডে পেঁৗছানোর আগেই অবসরে চলে যান। এই সরকারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদগুলো প্রায় বস্নক পোস্ট। সেখানে ২ থেকে ৪ শতাংশ শিক্ষক সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকের পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। বাকি ৯৮ থেকে ৯৬ শতাংশ শিক্ষক সারা জীবন পদোন্নতিবিহীন একই পদে চাকরি করেন। এই কারণে তাদের জন্য দুই-একটি টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল হলে জাতি গঠনের কারিগর এই শিক্ষকেরা সারা জীবন একই গ্রেডে থেকে যাবেন। শিক্ষক ছাড়াও অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে।টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের গূঢ় রহস্যটি হলো, গত বছর ৩০টি দফতর বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ ১ নম্বর আর ২০টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদকে ২ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। এই পদগুলোতে স্ব-স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিয়োজিত থাকলেও সুকৌশলে তাদের এখনও নিয়মিত পদায়নের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা প্রশাসন ক্যাডারকেন্দ্রিক মন্ত্রণালয়ের হাতে। এখন টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের ফলে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৪র্থ গ্রেড আর ক্ষেত্রে বিশেষে ৩য় গ্রেড আর অতিক্রম করতে পারবেন না। তখন এসব ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে ১ নম্বর ও ২ নম্বর গ্রেডের অযোগ্য ঘোষণা করে সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের আমলাদেরকে বসানো হবে।বর্তমানে পদের দ্বিগুণ বা তারও বেশি আমলাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এইসব আমলা পদের অভাবে পূর্বপদে বা নিম্নপদে চাকরি করছেন। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি-প্রাপ্ত এসব আমলাদের ২৬ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত এ ৫০টি ১ ও ২ নম্বর গ্রেডের পদে বসানো হবে। আমলাদের অন্য ক্যাডারের পদ দখলের প্রচেষ্টাটি বেশ পুরাতন। যেমন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালকের পদগুলো সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য সিডিউলভুক্ত পদ হলেও বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে সেখানে আমলারা বসে আছেন।সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অন্যান্য নন-ক্যাডার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মূল টার্গেট নন। মূল টার্গেট হলো ২৬ ক্যাডারের এ ৫০টি ১ ও ২ নম্বর গ্রেডের পদ। এ কারণে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দাবি মেনে নেয়ার সবুজ সংকেত দিলেও ২৬ ক্যাডারের দাবির বিষয়ে আমলারা অনড় অবস্থানে রয়েছেন।প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং উপসচিবগণও অন্যান্য ক্যাডারের ন্যায় যথাক্রমে ৪ বছর, ১০ বছর এবং ১৮ বছর পূর্তিতে সিলেকশন গ্রেড পেয়ে আর্থিক ও মর্যাদার দিক দিয়ে লাভবান হয়ে থাকেন। ফলে প্রশাসন ক্যাডারের এই তিন স্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করা নিয়ে মৃদু অসন্তোষ আছে। তাদের অসন্তোষ প্রবল নয় কারণ তারা নির্ধারিত সময়ে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি পেয়ে থাকেন এবং তারা ১ নম্বর গ্রেড ছাড়িয়ে আরও ২টি সুপার গ্রেড পর্যন্ত পেঁৗছাতে পারেন যেখানে ২৬ ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদ ৩য় বা ৪র্থ গ্রেডে থামিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলজনিত ক্ষতি প্রশাসন ক্যাডারের ওই তিন স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য সাময়িক আর ২৬ ক্যাডারসহ অন্যদের জন্য স্থায়ী।এই পে-স্কেলটি প্রস্তত, বিচার-বিশ্লেষণ, কাটছাঁট আর বাস্তবায়ন পর্যায়ে যারা নিযুক্ত ছিলেন তারা সবাই প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান আমলা। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য গোপন করে প্রশাসন ক্যাডার তথা আমলাদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করেছেন, অন্যদের অবনমিত রেখে গোষ্ঠীগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন।চলতি মাসের ১৬ তারিখে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার। এ কমিটিতে অর্থমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে সদস্য করা হয়েছে।উপর্যুক্ত মন্ত্রী মহোদয়দের আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু, যেহেতু তারা বেতনভোগী চাকরিজীবী নন, সেহেতু নানা ক্যাডার ও নন-ক্যাডার চাকরিজীবীদের বৈষম্যগুলো তাদের জানার কথা নয়। এই কারণে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য ওই কমিটির সহায়ক কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৬ ক্যাডার প্রতিনিধি থাকা অত্যাবশ্যক ছিল। ২৬ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে, সরকারকে অন্ধকারে রেখে, বিভ্রান্ত করে যে আমলারা এ পরিকল্পিত বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, তাদেরই আবার এ বৈষম্য নিরসন কমিটির সহায়ক কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে মন্ত্রীরা কোন তথ্য চাইলে এ আমলারা আগের মতোই তাদের গোষ্ঠীস্বার্থের অনুকূলে তথ্য সরবরাহ করবেন আর অন্যদের স্বার্থের বিষয়টি চেপে যাবেন। এ কমিটিকে সহায়তা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব/সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব ভারপ্রাপ্ত সচিবেরা। উল্লেখ্য, উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলোকে সুকৌশলে বাংলাদেশ সরকারের পদ বলা হলেও এইসব পদের ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি কর্মকর্তা প্রশাসন ক্যাডারের। 'বাংলাদেশ সরকারের পদ' একটি বাহ্যিক মোড়ক মাত্র।টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করলে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ লাখ লাখ নন-ক্যাডার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আর মর্যাদার দিক থেকে হবেন অবনমিত। কতিপয় আমলাকে খুশি করতে এই ব্যাপক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রবল অসন্তোষের বোঝা সরকার কেন বহন করবে?
rahmanmm40@gmail.com

Published in: http://www.thedailysangbad.com/sub-editorial/2015/09/29/28062

0 comments:

Post a Comment