শিক্ষকদের দাবি সম্পর্কে জনসাধারণকে সঠিকভাবে অবহিত করার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এদেশের জনসাধারণের জন্যই। আর তা পরিচালিতও হয় জনসাধারণের দেয়া অর্থের জোগানে। দাবিগুলো নিুরূপ :
ক. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, খ. শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসন করে সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক আর সিনিয়র সচিবদের একই গ্রেডভুক্ত করা। অতঃপর ক্রমান্বয়ে ও সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অধ্যাপক, অধ্যাপক (প্রারম্ভিক), সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের গ্রেড নির্ধারণ করা, গ. জাতীয় বেতন কাঠামোর গ্রেডের ভিত্তিতে ওয়ারেন্ট অফ প্রিসিডেন্সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের অবস্থান পুনর্নির্ধারণ করা, ঘ. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও গাড়ির সুবিধার আওতাভুক্ত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এসব দাবি সম্পর্কে কৌশলে এক ধরনের ভুল ধারণা ও ব্যাখ্যা ছড়ানো হচ্ছে। সুতরাং বিষয়টি জনসাধারণের জন্য স্পষ্ট হওয়া দরকার।
প্রথমত, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের অনেক দেশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও দীর্ঘদিনের চাওয়া একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তিতেও বলা হয়েছিল শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা। স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো যে শিক্ষকদের একটি ন্যায্য চাওয়া, তার প্রমাণ দেখা যায় আমাদের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে। জাতীয় নতুন শিক্ষানীতিতে এদেশের সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের কথাই বলা হয়েছে। কাজেই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন কোনো চাওয়া নয়, বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে বয়ে আসা এক অপ্রিয় অপূর্ণতা।
দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূরীভূত করা। শিক্ষকরা মনে করেন স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন একটি সময় সাপেক্ষ কাজ। তাই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা জাতীয় অষ্টম বেতন কাঠামোর মাধ্যমেই হতে পারে। তবে তার আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর সব বৈষম্য অবশ্যই দূর করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সপ্তম বেতন কাঠামোকে রেফারেন্স হিসেবে নেয়া বাস্তবসম্মত। কেননা সপ্তম বেতন কাঠামো ছিল ভারসাম্যমূলক ও সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য।
আশ্চর্যজনকভাবে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে, চলমান ভারসাম্য বিনষ্ট করা হয়েছে কেবল একটি শ্রেণীর স্বার্থে। অষ্টম বেতন কাঠামোতে জাতীয় গ্রেডবহির্ভূত বিভাজন সৃষ্টিকারী ও বৈষম্যমূলক পৃথক দুটি সুপার গ্রেড সৃষ্টি করা হয়েছে। যার প্রথমটি নির্ধারণ করা হয় মুখ্য ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের জন্য। আর অপরটি রাখা হয় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের জন্য। সভ্যতার এ যুগে এসে, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে, নতুন করে রাষ্ট্রের সমপর্যায়ের পেশাজীবীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী ও বৈষম্যমূলক এসব সুপার গ্রেডের প্রতি এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিন্দুমাত্র সমর্থন নেই। বরং শিক্ষকরা মনে করেন, বিভাজন সৃষ্টিকারী ও বৈষম্যমূলক এসব সুপার গ্রেড এদেশের সংবিধানের পরিপন্থী। কাজেই শিক্ষকদের চাওয়া, সুপার গ্রেডগুলো অনতিবিলম্বে বাতিল করা হোক। আর জাতীয় গ্রেড-১ই হোক শীর্ষস্থানীয় গ্রেড।
তৃতীয়ত, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের অবস্থান। রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে জাতীয় বেতন কাঠামোর গ্রেড-১ এর অন্তর্ভুক্ত একজন সচিব রয়েছেন ১৬তম অবস্থানে, আর গ্রেড-২ এর অতিরিক্ত সচিবের অবস্থান ১৯তম। অপরদিকে সপ্তম বেতন কাঠামো অনুসারে গ্রেড-১-ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকরা রয়েছেন ১৯তম অবস্থানে, যেখানে অবস্থান করছেন তাদের নিুতর গ্রেডভুক্তরা। সুতরাং একই গ্রেডভুক্ত জনপ্রশাসন কর্মকর্তা থেকে এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকরা পিছিয়ে আছেন তিন ধাপে। এটা কি শিক্ষকতা পেশার অবমূল্যায়ন নয়? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে কোনো রাষ্ট্রীয় পেশাজীবীর অবস্থান নির্ধারণের সমীকরণটি তাহলে কী? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা প্রদান করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ অধ্যাপকই এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সম্পর্কে অনাগ্রহী। তারা অর্পিত নয়, বরং অর্জিত সম্মান ও মর্যাদায় বিশ্বাসী। এমন এক সময় ছিল, শিক্ষকদের মানুষজন পণ্ডিত নামে ডেকে থাকতেন। পণ্ডিতরা ছিলেন সমাজের বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের সেই সম্মান ও মর্যাদা ছিল সম্পূর্ণভাবেই নিজেদের কর্ম-জ্ঞান-সাধনা আর জীবন আদর্শ-দর্শন দ্বারা অর্জিত, অর্পিত নয়। পরিবর্তিত এ যুগে অন্যান্য পেশার মতো শিক্ষকতা পেশায়ও এসেছে অনেক পরিবর্তন ও আদর্শগত চ্যুতি-বিচ্যুতি। তবে আলোকিত দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের গুরুদায়িত্ব কিন্তু এখনও একমাত্র এ শিক্ষকতা পেশায়ই ন্যস্ত রয়েছে। আজও এদেশের বেশির ভাগ শিক্ষক শুধু এ শিক্ষক পরিচয়েই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন, তারা অন্য কোনো অর্পিত পদবি বা সম্মানের লোভী নন। নিজেদের কর্মস্থলই তাদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণস্থান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাওয়া, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে শিক্ষকদের অবস্থান সম্মানজনক হোক, অন্যথায় তাদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। সমাধানটি কিন্তু একেবারেই সহজ।
সর্বশেষ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও গাড়ির সুবিধার আয়ত্তভুক্ত করা। গ্রেড-৩ এবং তদূর্ধ্ব জনপ্রশাসন কর্মকর্তারা অফিসিয়াল কাজে সরকারি অফিস-গাড়িই ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি তারা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহারের জন্য, গাড়িক্রয় বাবদ এককালীন ৩০ লাখ টাকা করে স্বল্প সুদে লোন পেয়ে থাকেন, যা থেকে শুধু ২০ লাখ টাকা তারা পরিশোধ করে থাকেন। আর গাড়ি চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ গ্রেড-৩-ভুক্ত একজন কর্মকর্তাই প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন ৪৫ হাজার টাকা। এ সুবিধা একমাত্র জনপ্রশাসন কর্মকর্তা তথা আমলাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই রাষ্ট্র কি শুধু আমলাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়? শিক্ষক ও ২২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী সবারই ভূমিকা রয়েছে এ রাষ্ট্র পরিচালনায়। তাহলে আমলারা কেন বৈষম্যমূলক এ অতিরিক্ত সুবিধা নেবেন? আশ্চর্যজনকভাবে এবার জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের গাড়ির সুবিধা গ্রেড-৩ থেকে বাড়িয়ে গ্রেড-৬ এ নিয়ে আসার জোর চেষ্টা চালানো হয়। যেখানে গ্রেড-১ভুক্ত হয়েও সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকরা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে গাড়ির সুবিধা চাওয়া থেকে বিরত ছিলেন, সেই একই রাষ্ট্রীয় অবস্থায় কী করে গ্রেড-৪, ৫, ৬-ভুক্ত আমলারা গাড়ির সুবিধা চাওয়ার কথা চিন্তা করে? একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আর শিক্ষকতা পেশার ঐতিহ্য/অবদান বিবেচনা করে এ বিষয়ে শিক্ষকরা হয়তো তাদের সর্বোচ্চ ছাড়ই দিয়ে থাকবেন।
শিক্ষকদের প্রতিটি পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও নীতিমালা, যা কিওটি নামে পরিচিত। আর প্রতিটি কিওটি-ই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত। নিয়োগ/পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিলেকশন বোর্ড (এসবি) যথাযথভাবেই কিওটি অনুসরণ করে থাকেন। ক্ষেত্র বিশেষে কোনো কোনো পদ যথা সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে নিয়োগ/পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর আবেদনপত্র বিদেশে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নে সন্তোষজনক ফলাফল এলেই কেবল এসবি অনুষ্ঠিত হয়। আর এসবি সুপারিশ অবশেষে পাঠানো হয় সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য। ভিসি ও শিক্ষক প্রতিনিধির পাশাপাশি সিন্ডিকেটে থাকেন চ্যান্সেলর অর্থাৎ মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। কাজেই শিক্ষকদের যে কোনো পদে নিয়োগ/পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সিন্ডিকেটে বাতিল হওয়ার শতভাগ সুযোগ/সম্ভাবনা রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে, এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব সহজে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। এটি সত্য, বিশ্বের মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য যেসব গবেষণা শর্ত/রিকুয়ার্মেন্ট নির্ধারিত থাকে, তার চেয়ে আমাদের শর্ত কিছু ক্ষেত্র-বিশেষে অনেক অংশে সহজতর। তবে যারা শুধু এ যুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপনারা উচ্চশিক্ষা বিশেষ করে গবেষণা খাতে বিনিয়োগ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের একটি পরিমাণগত তুলনা তৈরি করুন আর ভাবুন এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পদোন্নতির শর্ত কী হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা সক্ষমতা ও কার্যক্রম নিয়ে নেতিবাচক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে বলব, এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণা সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে এক বড় ধরনের অজ্ঞতার পরিচায়ক। কেননা শিক্ষকদের বেশিরভাগই বিশ্বের উচ্চমানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা-গবেষণা মানদণ্ড যথার্থভাবে পূরণের মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করা। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা Nature Index, H Index, Total Citation, Citation Per Publication ইত্যাদি আধুনিক ও প্রচলিত গবেষণা মানদণ্ড সম্পর্কে অবগত। তারা Elsevier, ACS, Wiley, Springer, and Taylor & Francis ইত্যাদি প্রকাশকের নানা হাই-ইমপ্যাক্ট জার্নালে রেফার্ড আর্টিকেল প্রকাশনাতে অভিজ্ঞ। তারা Scopus, SciFinder ইত্যাদি সার্চিং টুলস ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত। Times Higher Education World University Ranking, QS World University Ranking, and Shanghai Academic Ranking of World Universities সম্পর্কেও তারা সচেতন। শিক্ষকরা নিজস্ব প্রচেষ্টায় নানা বিষয়ে গবেষণা এখনও ধরে রেখেছেন। পাবলিকেশনও হচ্ছে আন্তর্জাতিক জার্নালে। বিশেষ করে কম্পিউটেশনাল কাজে ভালো পাবলিকেশন দেখা যাচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় হারে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা যে এদেশে হচ্ছে না, তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অকপটে স্বীকার করে থাকেন। গবেষণার জন্য থাকতে হবে প্রয়োজনীয় উপকরণ। জ্বালানি ছাড়া যেমন কোনো গাড়ি চালানো সম্ভব নয়, তদ্রুপ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ছাড়া মানসম্পন্ন গবেষণা অসম্ভব। এটি খুব সরল একটি এন্যালজি, সংশ্লিষ্ট সবাইকে বুঝতে হবে।
পরিশেষে আশা করব, সরকার দ্রুত দেশ, জনসাধারণ ও আগামী দিনের স্বার্থে শিক্ষা খাতের বিশেষ গুরুত্ব অনুধাবন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ন্যায্য পদমর্যাদা ফিরিয়ে দেবে। শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলমান আন্দোলনের সমাপ্তি এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীলতা আনবে।
ড. ইকবাল হোসেন : সহকারী অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
Published in: http://www.jugantor.com/window/2015/09/30/330033
আরো পড়ুনঃ
"স্বতন্ত্র স্কেল চাই, অন্য কোন দাবি নাই!!"
আমলাতন্ত্রের আমলনামা ও শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন
সংস্কারের বিকল্প নেই
ঔপনিবেশিক জনপ্রশাসন এবং ক্যাডার সার্ভিস সংস্কার
ক্যাডারের রাজা "প্রশাসন ক্যাডার"
শিক্ষার ঋণে আনন্দভ্রমণ!
0 comments:
Post a Comment